মোঃ মনিরুজ্জামান,ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) থেকেঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বাগ ভান্ডার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাগর নামের এক বকাটে ছেলের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পার হয়ে গেলে মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেওয়ায় তার পরিবার অন্তঃসত্ত্বার বিষয় টি বুঝতে পারেন। পরে মেয়েটির পরিবার ২ জনের প্রেমের সম্পর্ক ও গর্ভে বাচ্চা আসার বিষয় টি সাগরের পিতা নুরুজ্জামান, মাতা চম্পা বেগম, দাদা শাহাদত হোসেনকে জানায়, পরে সাগরের অভিভাবকগন তাদের সম্পর্কের বিষয় টি মেনে নিয়ে ২ জনের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কোর্ট এফিডেভিট করায়।
পরে ভুলভাল বুঝিয়ে সাগর মেয়েটিকে ঔষধে মাধ্যমে গর্ভে থাকা ৩ মাসের বাচ্চা নষ্ট করে। গর্ভে থাকা বাচ্চা কৌশলে নষ্ট করিয়ে মেয়েটির প্রেমিক সাগর ও তার পরিবারের লোক জন তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরিশেষে মেয়ে টি কোন উপায় না পেয়ে শনিবার (২৮ মে) দুপুরে তার শয়ন কক্ষে বিষ পান করে এক পর্যায়ে মৃত্যু শয্যায় পাঞ্জা লড়তে থাকে। পরে মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসী দৌড়ে এসে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করে বলেন,, এই বিষয়ে আমরা ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মামলা না নিয়ে আমাদের আদালতে যেতে বলেন। পরে আমরা সার্কেল এ এস পি মো: র্শেদুল আলম স্যারের কাছে বিষয় টি জানাই, তখন স্যার আমাদের কাছে অভিযোগের বিষয় গুলো শুনে তাৎক্ষণিক হাসতাপালে ও সাগরের বাড়িতে পুলিশ পাঠায়।
থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলা না নেওয়ার বিষয় টি অস্বীকার করে বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে কেউ মামলা করতে আসেনি। কেউ না আসলে আমি মামলা কি ভাবে নিবো।