আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতাঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ফজলুর রহমান মোল্লার ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫) গত ১১ দিন ধরে রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। তার এ নিখোঁজকে ঘিরে পরিবারের মাঝে ব্যপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি তার কর্মস্থল পাবনার ঈশ্বরদী থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের আগে ১৮ মে তাকে ওই অফিস থেকে হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা থাকার কারনে সকল হিসাব নিকাশ বুঝে নিয়ে বাধ্যতামূলক নোটিশের মাধ্যমে ছুটি প্রদান করেন ওই অফিসের শাখা ব্যবস্থাপক। পরবর্তী ২১ তারিখে ওই অফিসের শাখা ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম নিখোঁজ মামুনের বাড়িতে ফোনদিয়ে খবরে জানান মামুনকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু মামুনের পরিবারের দাবি ১৮ তারিখে মামুনকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদানের পরেও ওই অফিসের ব্যবস্থাপক কেন তাকে অফিসে রাখলেন এবং পরবর্তীতে তিনিই কি মুলে থানায় নিখোঁজ জিডি করলেন। এ নিয়ে নিখোঁজ মামুনের পরিবারের মাঝে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। খবর পেয়ে পরবর্তীতে আবারও ওই যুবকের পিতা ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
নিখোঁজের পিতার সাধারণ ডায়েরি সুত্রে জানাযায় মামুন পাবনার ঈশ্বরদীতে দিশা এনজিও’র সাহাপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ মে ওই শাখার ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম তাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চাকুরী হতে বাধ্যতামূলক ছুটি দেন। এদিকে বাধ্যতা মূলক ছুটির অফিস আদেশ প্রাপ্তির পর মামুন তার দায়িত্ব বুঝে দেয়ার জন্য কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেন এবং সকল হিসাব নিকাশ বুঝেও দেন। গত ২১ মে থেকে তাকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মর্মে অফিস থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। তার নিজের ব্যবহারিত মোবাইল (০১৭৫০-৬১৮৪৬৭) সার্বক্ষণিক বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই যুবকের পিতা ফজলুর রহমান গত ২৩ মে ঈশ্বরদী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন (জিডি নং- ১২০১)
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, জিডি হয়েছে, তদন্তের জন্য একজন দারোগাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।