বায়জিদ হোসেন, মোংলা সংবাদদাতাঃ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে ১২টি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ। বিলুপ্ত প্রায় এ বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির ১২ টি কচ্ছপের মধ্যে ১০ টি সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলের ও বাকী ২ টি খুলনা ও পটুয়াখালী থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত কচ্ছপ। সুন্দরবন উপকূলে এক সময়ে এ প্রজাতির কচ্ছপের অস্তিত্ব থাকলেও এখন আর তা তেমন একটা নেই। তাই এ প্রজাতির কচ্ছপের সাগর-সুন্দরবন উপকূলে অস্তিত্ব আছে কিনা ও এর চলা-ফেরাসহ জীবন প্রকৃতি জানতে গবেষণার জন্যই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সম্বলিত বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপগুলো সুন্দরবনের খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এ কচ্ছপগুলো সুন্দরবনের ছেদনখালী খালে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার, অস্ট্টিয়ার জুভিয়েনার কিউরেটর টনি।
বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ বন বিভাগ, অস্ট্টিয়ার জুভিয়েনা, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং টিএসএ সম্মিলিতভাবে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২০১৪ সাল থেকে এর প্রজনন ও জীবনচক্রের গবেষণার কাজ শুরু করেন। এ কাজে এর আগে গত ২০১৭সালে ২টি, ২০১৮সালে ৫টি ও ২০১৯ সালে ৫টি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারযুক্ত কচ্ছপ বঙ্গোপসাগর মোহনা ও সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। যা দিয়ে এখনও গবেষণার কাজ চলছে। এ প্রকল্পের গবেষণায় সফলতা এসেছে বলেও জানিয়েছেন করমজলের বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ প্রজনন প্রকল্প কেন্দ্রের ষ্টেশন ম্যানেজার আঃ রব।