আশরাফুর রহমান রাহাত, জামালপুর সংবাদদাতাঃ
গত শনিবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে হারুন অর রশিদসহ পরিবারের লোকজন তাহার বসত বাড়ির ৫০০ গজ পূর্ব দিকে নতুন বন্দর গ্রাম¯’ জনৈক মোঃ সবুর মিয়া এর পুকুরের পূর্ব পাড়ে ভিকটিম হাফসা আক্তার হারেনা (২৭) কে রক্তাক্ত গলাকাটা অব¯’ায় দেখতে পান এবং ভিকটিমের ০৫ (পাঁচ) মাস বয়সের শিশু সন্তানকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করিয়া পাশেই মোঃ আবু সাঈদ এর ধান কাটা জমির দক্ষিণ পশ্চিম কোণে বাঁশ ঝাড়ের নিচে গলা কাটা মৃত অব¯’ায় দেখতে পান। এ সময় হারুন অর রশিদ এর মেয়ে ভিকটিম হাফসা আক্তার হারেনা(২৭) জীবিত থাকলেও শ্বাসনালি কাটা থাকায় সে কোন কথা বলতে পারছিলো না। ঘটনা¯’লে উপ¯ি’ত এলাকার লোকজনদের সহায়তায় হারুন অর রশিদ তার মেয়ে হাফসা আক্তার হারেনা কে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্স রৌমারী নিয়ে গেলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করিলে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হইলে পথিমধ্যে ২১/০৫/২০২২ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১৩.৫০ ঘটিকার সময় মৃত্যু বরণ করে। উক্ত ঘটনা নিয়ে ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ২২/০৫/২০২২ ইং তারিখ ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনার পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি উক্ত ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেন এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীদ্বয়কে চিহ্নিত এবং আসামীদের অব¯’ান নিশ্চিত করে উক্ত ঘটনার মামলা দায়ের করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২৪/০৫/২০২২ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১৪.০০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামী ০১। মোঃ জাকির হোসেন @জপিয়াল (২৮), পিতা-মোঃ গোলাম শহিদ, সাং-ওকরাকান্দা, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রামকে তার আতœীয়ের বাড়ী হইতে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মোঃ চাঁন মিয়া (৪৩), পিতা-মৃত বাহাদুর আলী, সাং- ওকরাকান্দা, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম’কে একই তারিখে অনুমান রাত ২১.৪০ ঘটিকার সময় কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানাধীন বোয়ালমারী গ্রামের তার আতœীয়ের বাড়ি হইতে আটক করা হয়। আটককৃত সন্ধিগ্ধ আসামীদ্বয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই মর্মে স্বীকার করে যে, ভিকটিম হাফসা আক্তার হারেনা তার অসু¯’ ছেলেকে চিকিৎসা শেষে কুড়িগ্রাম হইতে ফেরার পথে রৌমারী বাজার হইতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ০১টি ফ্লাক্স ক্রয় করিয়া শ্বশুড় বাড়ীতে যায়। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করিলে নির্জন এলাকায় পৌঁছাইলে পূর্ব হইতে ওঁৎপেতে থাকা আসামীদ্বয় মোঃ জাকির হোসেন @জপিয়াল ও মোঃ চাঁন মিয়া ভিকটিম হাফসা আক্তার হারেনা এবং তার শিশু ছেলেকে জোরপূর্বক নতুন বন্দর গ্রাম¯’ জনৈক মোঃ সবুর মিয়া এর পুকুরের পূর্ব পাড়ে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। আটককৃত ০১। মোঃ জাকির হোসেন @জপিয়াল (২৮), পিতা-মোঃ গোলাম শহিদ, ০২। মোঃ চাঁন মিয়া (৪৩), পিতা-মৃত বাহাদুর আলী, উভয়সাং-ওকরাকান্দা, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রামদ্বয়’কে রৌমারী থানার মামলা নং-১০/৭৪ তারিখ- ২২ মে ২০২২ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড মূলে মামলার সত্যতা যাচাই পূর্বক রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।