মিন্টু ইসলাম, শেরপুর সংবাদদাতাঃ
বগুড়া শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ডে ফলপট্টির দোকানগুলোতে মৌসুমি ফল লিচুর ব্যাপক বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যার কারণে চায়না থ্রি লিচুর বাগান গুলোতে লিচুর ফলন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা। ফলে দাম চড়া চায়না লিচুর। শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের লিচু ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিবছরের মতো এ বছরেও লিচু দিনাজপুর থেকে আমদানি করছি। বোম্বাই লিচু বিক্রি করছি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, চায়না থ্রি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চায়না কমদামী লিচু ২৫০ টাকা, দেশি লিচু ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাদ্রাজ লিচু ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ী মোঃ জেল হক বলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের চায়না-৩ লিচুবাগান মালিক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এর বর্তমানে “মহিপুর লিচুবাগান” নামে পরিচিত। ২০০৩ সালে “মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন” সর্বপ্রথম বগুড়ার মহিপুর গ্রামে উন্নত জাতের চায়না-৩ লিচু গাছ রোপণ করেছিলেন। এ বাগানে এখন প্রায় একশতর উপরে গাছ রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন এর লিচু বাগানের পাশে আরেকটি মেজরের চায়না-৩ লিচুবাগান রয়েছে। বর্তমানে পুরো এলাকা জুড়েই এই চায়না-৩ লিচু গাছের বাগানে লিচু উৎপাদন হচ্ছে আমরা এখান থেকেও লিচু এনে বিক্রি করছি। এছাড়াও মৌসুমি ফল লিচু ব্যবসায়ী মোঃ বারিক বলেন এই বছর লিচুর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কম ও ফল ব্যবসায়ী মোঃ সুমন জানিয়েছেন চলতি বছরে বগুড়া শেরপুর উপজেলায় লিচু বিক্রির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকার লিচু ক্রয় বিক্রয় হবে।