ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী ট্রেইন দুর্ঘটনায় কবল থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেল, দায়িত্ব অবহেলা ছিলো বলে চালক ও রেলওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায় যে ২০/৫/২০২২ দিবাগত রাত ৮.৪৫ মিনিটে কুড়িগ্রামের অান্তঃনগর ট্রেইন ছাড়ার কথা থাকলে সাময়িক সমস্যার কারনে ট্রেইনটি ৯ টা ৩০ মিনটের দিকে ছাড়েন ঢাকা থেকে।
রাতের ঝড় তুফানে বগুড়ার শেষ সীমান্ত ইসবপুর গ্রামে রাস্তায় বিশাল বড় বট গাছ পরে যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাত্তাহারে রেল স্টেশনে কুড়িগ্রামের ট্রেইন ভোর ৪ টায় এসে অপেক্ষা করতে থাকেন, জিজ্ঞাসা বাদে জানা যায় যে রাস্তায় গাছ পরে আছে সেটি কাটার কাজ চলছে।
কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাস্তায় গাছ পরে আছেন জেনেও রাস্তার গাছ না সরিয়ে ট্রেইন সিগনাল দিয়ে ছেড়ে দেন সকাল ৭ টায় কুড়িগ্রামের ট্রেইন অান্তঃনগর ট্রেইনটি বগুড়ার শেষ সীমান্ত ইসবপুর গ্রাম এসে হঠাৎ গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে বিকট শব্দে কেপে উঠে। দাড়িয়ে থাকা অনেক মানুষ ট্রেইনের গড়াগড়ি খেতে থাকেন। অনেকেই ট্রেইন বিশাল দুর্ঘটনার কবলে পরে গেছন বুঝে ট্রেইন থেকে লাফিয়ে নামতে থাকেন।
ট্রেইন থামানোর পরে ট্রেইন থেকে নেমে দেখা যায় ট্রেইনের সামনের ইঞ্জিলের পরের বগির নিচে বিশাল বড় গাছ। কিন্তু সেখানে উপস্থিত রেলওয়ের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর বাগবিদগ্ধ চলতে থাকে জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন এর আগে সীমান্ত ট্রেইনটি আস্তে আস্তে গেলেও অন্তঃনগর ট্রেইনটি দুর্ঘটনার কবলে কেন পরবে, এলাকাবাসী জানান সীমান্ত ট্রেইনটি যখন আটকিয়ে ছিলো রেলওয়ের কোন লোক আসেনি আমরা গ্রাম বাসী মানবিক কারনে আমরাসহ ট্রেইনের যাত্রীরা মিলে গাছটি কাটি কিন্তু তখনও পুরোপুরি ক্লিয়ার না হওয়ার আগেই অান্তঃনগর ট্রেইনটি ছেড়ে আসে, রাস্তাটি সীমান্ত ট্রেইনটি অনেক কষ্ট করে যায় কিন্তু রেলওয়ের লোকেরা জানার পরে কেন আবার অন্তঃনগর ট্রেইনটি ছেড়ে আসবে এখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা মাত্র এসে গাছ কাটছেন এর আগে কোথায় ছিলো এরা আর রাস্তা ক্লিয়ার না করে কেন ট্রেইন ছেড়ে আসবে! আর কেনোইবা ট্রেইনটি দুর্ঘটনার কবলে পরবে!
এছাড়া দূরে পতাকা সিগনাল দেওয়ার পরেও ড্রাইভার কেন ট্রেইনটি না থামিয়ে চালিয়ে আসলো। এ বিষয়ে ড্রাইভার এর প্রতি ক্ষোব প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।