লক্ষিডাংরী গ্রামের সড়ক ও ব্রীজ যেন মরন ফাঁদ

পরিবেশ ময়মনসিংহ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মারুফ আলম শ্রীবরদী, শেরপুর থেকেঃ শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাধীন ৭নং ভেলুয়া ইউনিয়নের লক্ষিডাংরী গ্রামে মরন ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে গ্রামের একমাত্র ব্রীজ টি, ভেলুয়া হয়ে লক্ষিডাংরী ভিতর দিয়ে বিএডিসির বয়ে যাওয়া খাল। এ খালের উপর ব্রীজ হয়েছে প্রায় ১৮-২০ বছর কিন্তু দুঃখের ব্যাপার যে, ব্রীজ হলেও দুই পাশের মানুষের চলাফেরা সুবিধার জন্য যে উল্লাস হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তা নয়, গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে এই ব্রীজ, এ যেনো এক মৃত্যু ফাঁদ তৈরি হয়েছে।

যাতায়াতের একদম অনুপযোগী প্রধান কারন ব্রীজের ২ পাশের বেহাল ভাঙ্গন দশা, ভেঙ্গে পড়েছে ব্রীজের ২ পাশের মাটি (ছবিতে দেখুন)। ব্রীজ হওয়ার বছর খানেক পর থেকেই এই অবস্থা,এ ব্রীজ এর উপর দিয়ে প্রতি দিন শত শত সাধারণ মানুষ সহ স্কুল- কলেজ- মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে স্কুল, মাদ্রাসার ছোট ছোট ছেলে,মেয়ে এবং ৫০উর্ধ্ব বয়সের মানুষের জন্য ব্রীজের উপর দিয়ে পারাপার হওয়া খুব ঝুকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে,
দূর্ঘটনার ভয় এবং আশংখা নিয়ে কোমলমতী শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুল,মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে, বর্তমান দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
শুকনো মৌসুমে যেমন তেমন , বর্ষাকালে ও বন্যার সময় ব্রীজ পারাপারে এবং রাস্তা দিয়ে চলাচলের একবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকার মানুষের কথা -ব্রীজ না হওয়াতেই ভালো ছিলাম, অনেক সময় অনেক জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ এর ২ পাশে রাস্তা মাটি ভরাট এবং পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ‍্যবধি কেউ কথা রাখেনি।
ফলে যাতায়াতের চরম সমস্যায় ভোগতেছেন গ্রামের স্কুল-কলেজের, ছাত্র,ছাত্রী ও সাধারন মানুষ, ব্রীজটি গ্রামের মাঝ খানে হওয়াতে আরো বেশি বিপাকে পড়েছে গ্রামের কৃষকগন,তারা তাদের ফসালাদি বাজারজাত করে ভালো লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না।
এ নিয়ে গত ১৬ সালে ইউপি নির্বাচিত মরহুম মিজানুর রহমান মিয়া চেয়ারম্যান থাকা কালিন সময়ে ২ পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা শুরু করলে কাজ চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরন করিলে,
আজ অবদি ধীরে ধীরে মাটি সরে গিয়ে আরো ভয়ংকর খাঁদ তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষের আর্তনাদ এখন কোথায় গেলে কি করলে আমরা এরকম কস্ট থেকে পরিত্রান পাবো।
গ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবী গ্রামের চলাচলের প্রধান রাস্তা এবং কি ব্রীজটি যেনো অতি দ্রুত মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.