আব্দুল মজিদ মল্লিক নওগাঁ থেকেঃ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামে একটি ছাগল পেঁপে গাছ ও গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় মারপিটের ঘটনায় মামলার ৫ দিনেও প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাণীনগর থানা পুলিশ। এদিকে ওই মামলা দায়েরর পর ১০ জন আসামির মধ্যে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় মামলার ৯ জন আসামি আদালত থেকে জামিন নেয়। এরপর আসামিরা জামিনে এসে বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বাদীর পরিবার।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিার (৫ মে) সকালে উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের মৃত ইকিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে খুবসের আলীর পুকুর পাড়ে রোপনকৃত পেঁপে গাছ ও গাছের পাতা খায় একই গ্রামের জয়েদ আলীর “একটি ছাগল”। বিষয়টি দেখতে পায় খুবসের আলীর স্ত্রী রতনা বিবি। এরপর ছাগলটি পেঁপে গাছ ও পাতা খাওয়ার কারণে রতনা বিবি পুকুর পাড় থেকে ছাগলটি বেঁধে নিয়ে তাদের বাড়ীতে আটকে রাখে। এদিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ছাগলের মালিক জয়েদ আলী ছাগলটি নিতে খুবসের আলীর বাড়িতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে সেখানে হামলা মারপিটের ঘটনা ঘটে। এমত অবস্থায় গাছের মালিকের ১০-১২ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড়, ধারালো হাসুয়া দিয়ে জয়েদ আলীকে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করে। ওই সময় খুবসের আলীর ভাই তফছের আলীর হুকুমে শান্ত মন্ডল হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাগলের মালিক জয়েদ আলীকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় জয়েদ আলীর চিৎকারে ছেলে চঞ্চল হোসেন ও ভাতিজা আকাশ এগিয়ে এলে দলবদ্ধরা তাদেরও এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় তাদের মারপিটের খবর পেয়ে সেখানে গেলে জয়েদের ভাই ওয়াহেদ আলীকে মারপিট করেন তারা।
বর্তমানে আহত আকাশ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আর জয়েদ আলী ও তার ছেলে চঞ্চল হোসেন গুরুত্বর আহত অবস্থায় এখনো রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় গত ৭ মে শান্ত মন্ডলকে ১ নম্বর, বাদল হোসেনকে ২ নম্বর, তফছের আলী মন্ডলকে ৩ নম্বর ও খুবসের আলীকে ৪ নম্বর আসামি করেসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে জয়েদ আলীর ভাই ওয়াহেদ আলী মৃধা বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ওয়াহেদ আলী মৃধা জানান, মামলাটি দায়ের করার পর থেকে রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামিসহ কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি। আর মামলার ৯ জন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাই আমার পরিবার নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। দ্রুত মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আর মামলার ৯ জন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।