শিক্ষা সফরের নামে ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষকদের জলকেলি, সমালোচনার ঝড়

আইন-অপরাধ ঢাকা পরিবেশ বিনোদন শিক্ষা শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ
শেয়ার করুন...

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেরা একসঙ্গে নদীতে জলকেলিতে মজেছেন। শিক্ষা সফরের নামে এমন কাণ্ড ঘটান তারা। তাদের এমন দৃশ্য প্রকাশ্যে আসার পর আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

রোববার (৩ এপ্রিল) গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ছবিগুলো আপলোড করেন। এরপর থেকে শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সাংবাদিকদের কাছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

জানা যায়, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গত শুক্রবার গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীদের নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ভোলাগঞ্জে যান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেরা। পরদিন ছাত্রীদের নিয়ে ওই এলাকার নদীতে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকেরা টি শার্ট পরিহিত অবস্থায় গোসল করতে নামেন। এইসব দৃশ্য ধারণ করে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে আপলোড দেন।
আড়াইহাজার পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া স্বপন বলেন, শিক্ষা সফর মানে শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে সহায়তা করে। ছাত্রীদের নিয়ে কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের একসাথে গোসল আর এ দৃশ্য ফেসবুকে আপলোডে কতটুকু মান বৃদ্ধি হয়েছে যারা আয়োজন করেছেন তারাই বলতে পারবেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের দৃশ্য আপলোড একটি গর্হিত কাজ।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও দুপ্তারা সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন সরকার বলেন, ছাত্রীদের নিয়ে কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের একসাথে গোসল দৃশ্য দেখে শিক্ষক হিসেবে আমি নিজেও বিব্রত। শিক্ষা সফরের নামে এ ধরনের দৃশ্য কাম্য নয়।

এদিকে ছাত্রীদের নিয়ে কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নদীতে একসঙ্গে গোসলের দৃশ্যকে স্বাভাবিক মনে করছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন। তবে এ সফরের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজ এলাকার বাহিরে শিক্ষা সফর কিংবা পিকনিক যে নামেই হোক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাইলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কোন পূর্বানুমতি নেয়নি।

ছাত্রীদের নিয়ে কমিটি ও শিক্ষকদের একসাথে গোসলের ছবি দেখে তিনি বলেন, শিক্ষকদের শিক্ষকসুলভ আচরণ এটি নয়। কয়েকদিনের মধ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সভা করে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মেসেজ দেওয়া হবে।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.