অনলাইন ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহার হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাহআলম (২৮) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১:১৫ মিনিটে নগরীর চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন শাহআলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক পরিমল দাস ।
নিহত শাহআলম (২৮) নগরীর সুজানগরের মৃত জানু মিয়া ছেলে। এসময় পুলিশ একটি ৭.৬৫ পিস্তল, গুলির খোসা, কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেন ।
জেলা ডিবি পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে জেলা ডিবি পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন,এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশের পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে আহত শাহআলম কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত (৩০ নভেম্বর) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলার ৩ নাম্বার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো সাব্বির রহমান(২৮) ও মামলার ৫ নং আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন(৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
উল্লেখ্য ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ঐ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।