পদ্মায় ডুবে যাওয়ার সময় শাহ আমানত ফেরিতে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৪টি মোটরসাইকেল ছিল; এর মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ৯টি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
বাকি যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার কাজে যোগ দিতে মুন্সিগঞ্জ থেকে উদ্ধাকারী জাহাজ প্রত্যয় রাতেই পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছাবে। রাতেও চলবে উদ্ধার তৎপরতা। কর্তৃপক্ষ রাতে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছে।
বুধবার সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করার পর ওই রো-রো ফেরি উল্টে যায়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফেরির মাস্টার শরিফুল ইসলাম লিটন জানান, চার মাস আগে ফেরিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ভারী মেরামত শেষে পাটুরিয়া সার্ভিসে আসে। তবে সম্প্রতি ফেরিটি তলদেশে একটি ফুটো হয়। বুধবার দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া গিয়ে ভাসমান কারখানায় মধুমতিতে তা মেরামত করার কথা ছিলো।
তিনি জানান, মাঝ নদী পার হওয়ার পর ফেরিতে পানি ওঠার বিষয়টি তিনি টের পান। ভালোভাবেই তিনি ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটে নোঙ্গর করেন। এর পর যানবাহন আনলোড হওয়ার সাথে সাথে ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, শাহ আমানত ফেরিটি ১৯৭৯ সালে ফেরি বহরে যোগ হয়। ফেরিটির কোনও ত্রুটি ছিলো কি না তা জানা নেই। তবে ডুবে যাওয়ার প্রাথমিক যে তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে মনে হচ্ছে ফেরির তলদেশ ছিদ্র হয়ে পানি উঠে ফেরিটি ডুবে গেছে। আমাদের দেশে ফেরি ডুবির ঘটনা এটাই প্রথম।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান জানান, পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে আমানত শাহ ফেরিটি কাত হয়ে পড়ে যাওয়ার সময় এতে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৪টি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরি ও যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া থেকে আসা উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার কমান্ডার এস এম ছানোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফেরির পাটাতন ফেটে পানি ওঠায় এটি ডুবে যায়। ফেরি শাহ আমানতের যে ওজন তাতে কোন কূল কিনারা পাবেনা উদ্ধারকারী জাহাজটি।
ফেরির অবকাঠামোর ওজন সম্পর্কে জানা গেছে, ১ হাজার টন। সেক্ষেত্রে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার উদ্ধারে সক্ষমতা মাত্র ৬০ টন। এদিকে আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যার উদ্ধারের সক্ষমতা রয়েছে ২৫০ টন।