বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৮৮৪ জন। দুই ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে চীন। দেশটিতে ১০২ কোটি ২২ লাখ ৭ হাজার জনকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
ভারতে ২০ কোটি ৫৬ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৯ জন দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের গতকাল বুধবার পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এশিয়া মহাদেশে করোনভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সবার ওপরে আছে ভারত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের দিক থেকে এশিয়ায় বাংলাদশের অবস্থান নবম। প্রথম অবস্থানে আছে ভারত।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ: টিকায় সপ্তম, সংক্রমণে দ্বিতীয়, মৃত্যুতে তৃতীয়
দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২ ডোজ টিকা প্রয়োগে সপ্তম অবস্থানে আছে। অষ্টম অবস্থানে আছে আফগানিস্তান। শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় ও মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এর আগে ৩১ আগস্ট দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়া ২ ডোজ টিকা প্রদানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তম। শনাক্ত ও মৃত্যু উভয় দিক থেকে ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।
বাংলাদেশে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম ২ হাজার ৫৯৯ জন শনাক্ত হয়েছেন ভুটানে।
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৫ জন মারা গেছেন ভারতে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ২৭৭ জন।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গতকাল বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সূত্রঃ ডেইলি স্টার