
মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় খালেদা খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধূকে ঘরবন্দী রেখে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পারিবারিক কলহে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার সকালে শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া কালিতলা এলাকার বাড়ী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামী মিলন হোসেনকে গ্রেফতার পর, আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মারধর করে ঘরে আটকে রাখার ৩ দিন পর গৃহবধূ খালেদার মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত মিলন একজন চা বিক্রেতা। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে ঘরবন্দী রেখে মারধর করতো। গত শনিবার রাতেও স্ত্রীকে মারপিট করেছে মিলন।
গত রবিবার রাতে গৃহবধূ খালেদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোরে প্রতিবেশীরা তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৃহবধূর মরদেহ স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাফন প্রস্তুতি নেয় অভিযুক্ত স্বামী মিলন। বিষয়টি প্রকাশ পেলেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
শেরপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী মিলনকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে। গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটকের পর স্ত্রীকে মারপিটের কথা স্বীকার করে, অভিযুক্ত মিলন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী সবসময় ঘরের মধ্যে থাকে, তাকে আটকে রাখিনি। সবার সংসারে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হয়। গত শনিবার রাতে খালেদাকে দু’টি চড় মেরেছিলাম। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামী মিলনকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
