
জাফর আহমেদ।। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০২২ সালে নিয়োগ নিয়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলায় যোগদান করে বর্তমানে লালমাই উপজেলায় কর্মরত আছেন মোঃ মমিন আলী।
তার নিয়োগ, যোগদান ও পরবর্তীতে সুবিধাজনক স্থানে বদলির জন্য কল কবজা নেড়েছেন সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের উন্নয়ন সমন্বয়ক (পিএস) কামাল।
উক্ত কামালের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে তখনকার সময়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছেন উক্ত মমিন আলী।
বরাদ্দ ছাড়াই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের একাধিক পানির ট্যাংক ও পাইপ ব্যবহারের জন্য নিজের বাড়িতে রেখেছেন লালমাই উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মমিন আলী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাড়িতে বসানো আছে গভীর নলকূপ। ছাদের উপর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের (DPHE) তিনটি পানীর ট্যাংক ও বাড়ির উঠোনে কল বসানোর শত শত পাইপ পড়ে আছে।
লাকসাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে খবর নিয়ে জানা গেছে লাকসাম থেকে উক্ত মমিন আলীর বাড়িতে কোন সরকারি টিউবওয়েল ও পানির ট্যাংক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
নিজের টাকায় গভীর নলকূপ বসানোর দাবি করে মমিন আলী বলেন, শাওন নামে মনোহর গঞ্জের এক ছোট ভাই (ঠিকাদার) থেকে তিনি ওই ট্যাংক গুলো সংগ্রহ করেছেন।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুরোধে হাজিগঞ্জ সার্কেলের এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কল বসানোর জন্য নাঙ্গলকোটের সাব কন্ট্রাকটার তাজুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি পাইপ সংগ্রহ করেছেন বলে জানান। মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা গ্রামের
কৃষক সুরুজ মিয়ার ছেলে উক্ত মমিন আলী লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের কালিয়াচৌ এলাকায় বাড়ি করেছেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০২২ সালে নিয়োগ নিয়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলায় যোগদান করে বর্তমানে লালমাই উপজেলায় কর্মরত আছেন তিনি। তার নিয়োগ যোগদান ও পরবর্তীতে সুবিধাজনক স্থানে বদলির জন্য কল কবজা নেড়েছেন সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের উন্নয়ন সমন্বয়ক (পিএস) কামাল।
উক্ত কামালের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে তখনকার সময়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছেন উক্ত মমিন আলী।
মোঃ মমিন আলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে লালমাই উপজেলায় উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।
এই মমিন আলী কালিয়াচৌ এলাকায় স্ত্রী, স্ত্রীর ছোট বোন ও ভায়েরা ভাইয়ের নামে সম্পদ কিনার রেকর্ড গড়েছেন।
বিধি মোতাবেক যে কোনো সরকারি চাকরিজীবী ৫০ হাজার টাকার উর্ধ্বে সম্পদ কিনতে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও মমিন আলী ওই বিধান জানেন না বলে সম্পদ ক্রয় করতে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি বলে জানান।
বাড়ি করার বিনা অনুমোদনে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করে কালিয়াচৌ এলাকায় তৈরি করছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ির সামনে সরকারি খালের উপর দোকান এবং ভেতরে বসিয়েছেন রাইস মিল। আবাসিক বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন দোকান ও রাইস মিলের ব্যবসা।
কালিয়াচৌ গ্ৰামে জমি কেনার জন্য কয়েকজনকে সোর্স নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন।
কেউ জমি বিক্রি করলে খবর চলে আসে মমিন আলীর কাছে। টাকার কোন কথা নাই। যত মূল্যেই হোক জমি কিনতে চান মমিন আলী।
বিক্রেতাদের সাথে কথা ফাইনাল হলে রেজিস্ট্রি হয়ে যায় মমিনের স্ত্রী, স্ত্রীর ছোটবোন ও ভায়রার নামে।
সরকারি চাকরি পাওয়ার অল্প সময়ের ব্যবধানে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছেন মুমিন আলী। তোয়াক্কা করছেননা আইন ও নিয়ম শৃঙ্খলার। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করছেন বহুতল ভবন।
বাড়ি করার অনুমোদনের জন্য স্কয়ার ফিট হিসাব করে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশকে টাকা দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদে কোন টাকা জমা হয়নি এবং ভবন নির্মাণে অনুমোদন নেননি বলে জানিয়েছেন আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
বিধি মোতাবেক যে কোনো সরকারি চাকরিজীবী ৫০ হাজার টাকার উর্ধ্বে সম্পদ কিনতে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও মমিন আলী ওই বিধান জানেন না বলে সম্পদ ক্রয় করতে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি বলে জানান। একারনে জায়গা কিনা ও বাড়ি করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি।
উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরিতে নতুন যোগদানকারী মমিন আলী যেন টাকার মেশিন।
চাকরিতে যোগদান করার পরেই রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছেন লালমাই উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মমিন আলী।
দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান স্থানীয় জনগণের।