মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে জুলাই গণহত্যার বিচার, শেরপুর উপজেলা ও পৌরসভার অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে অবহেলা ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের শাহী মসজিদের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচী পালিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটি শেরপুর উপজেলার প্রতিনিধি জিন্নাত আলী, নাইমুল ইসলাম, রাশেদ সাদাত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মামুন, জাহিদ, প্রত্যয়, ফাহিম, তুষার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পৌর নাগরিকরা জন্ম, মৃত্যু সনদ ও নাগরিকত্ব সনদের জন্য হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এদিকে কোনো টার্মিনাল না থাকা সত্বেও পৌরসভার বাস, ট্রাক, সিএনজি চালিত এবং ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার টোল আদায়ের ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পরিবহন গুলোতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে।
তারা আরো বলেন, মহাসড়ক চার লেন উন্নতিকরণের জন্য পৌর শহর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বারবার দাবি করার পরও কোনো ফুট ওভার ব্রিজ এখনও নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ মৃত্যু বরণ করলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। তারা ইউনিয়ন গুলোতে টাকার বিনিময়ে গ্রাম পুলিশ ও প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলের ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতির অনুকুলে জলমহাল ইজারা প্রদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, স্পীড ব্রেকার ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মান, বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জন্য পৌরসভার নিজস্ব ষ্ট্যান্ড, জন্ম, মৃত্যু ও নাাগরিক সনদ দিতে কালক্ষেপন না করা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফ্যাসিস্ট প্রীতি ও রাজনৈতিক মনোভাব পোষন না করা, যে কোন নিয়োগে পক্ষপাত না করা, জলমহল ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যাকিদের প্রাধান্য না দেয়া, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতকারী শিক্ষককে শাস্তি না দিয়ে পুনর্বাসন করা ও অবৈধভাবে মাটি, বালি উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। তা না হলে ইউএনওর অপসারন সহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।