মাহফুজ বাবু;
আগামী বুধবার ঈদ-উল-আযহা, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। সারা দেশের মতো কুমিল্লা জেলায়ও গত বৃহস্পতিবার থেকে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলকায়। তবে, হাটগুলোর অবস্থা দেখে বোঝার কোনো উপায় নাই যে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে এখন করোনা মহামারি চলছে। আর এর প্রকোপে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা দুইশ এর নিচে নামছেই না কেন ভাবে। ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে শতশত রোগী। বেড সংকটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের মেঝেতে এবং বারান্দায় শুয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লায় এবার মোট ৩৫১টি গরুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরের তুলনায় এই সংখ্যা এবার কম। শহর এলাকায় এবার কোনো পশুর হাটের অনুমতি দেয়া হয়নি। শুক্রবার ও শনিবার কুমিল্লার সদর, বুড়িচং, দেবীদ্বার সহ সকল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পশুর যথেষ্ট আমদানি আছে। কুরবানীর পশুর পরিমান পর্যপ্ত থাকলেও দাম কিছুটা চড়া জানান ক্রেতারা। এখনো তুলনা মুলক বেচাকেনা তেমন শুরু হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা, অনেকেই আসছেন বাজার ঘুরে দড়দাম জাচাই করতে। রবিবার থেকে বেচাকেনা বাড়বে বলে ধারনা বাজার কমিটি ও বিক্রেতাদের। এদিকে, হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষণই নেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে। বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মুখে নেই মাস্কও। নেই শরীরিক দুরত্বের কোন বালাই। প্রায় সকলের কাছেই মাস্ক থাকলেও তা কেবল যেন প্রশাসনের ভয়ে জরিমানা বাঁচাতে! কারো গলায় আবার কেউ পকেটে নিয়ে ঘুরছেন মাস্ক। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা করোনার হটস্পট কুমিল্লায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এই সংকট চলাকালে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও, বাস্তবে কোরবানির পশুর হাট পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে।
উন্মুক্ত এই হাটগুলো থেকেই করোনা সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এলাকার স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা। এর আগে, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু আছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ এ সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করে তারা ব্যবস্থা নেবেন।