ঈদের পর দেশ কঠোর লকডাউনে থাকবে ১৪ দিনাঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আইন-অপরাধ জাতীয় পরিবেশ সারাদেশ স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন...

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চালু করা হবে। শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-৬ এর ‘৯৬তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৪ দিনের এই লকডাউনে সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ গার্মেন্টস ও অন্য সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসন সংক্রমণের ঊর্ধগতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকার। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের লক্ষ্যে নয় দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়।

গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হল। পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে- এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

তবে এই সময়েও জনগণকে সব অবস্থায় সতর্ক থাকতে, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‘কঠোরভাবে’ অনুসরণ করতে হবে। ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন আগের চেয়েও কঠিন। আগের লকডাউনে গার্মেন্ট-কলকারখানা চালু ছিল। ঈদ পরবর্তী লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা, মার্কেন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

এগুলোসহ ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.