রিমু আফরাতুল
ঘন কুয়াশা জন্য আজ মেঘনা ট্রেন ২৫ মিনিট দেরিতে লাকসাম পৌঁছালেও প্রায় ১ঘন্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে লাকসাম থেকে। মেঘনা ট্রেন লাকসাম পৌঁছানো সঠিক টাইম ৬:২০ মিনিট কিন্তু আজ রোজ শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর২০২৪ইং তারিখে মেঘনা ট্রেন চাঁদপুর থেকে লাকসাম পৌঁছেছে ৬:৪৫ মিনিটে। সকাল ৬:৫৫ মিনিটে মেঘনা ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে গিয়ে ডিলাইন হয়ে যায়। এতে হাজার খানেক যাত্রি বিরম্বনায় পড়েন। তার কারন জানতে গিয়ে জানা যায় মেঘনা ট্রেনের ইঞ্জিন প্রতিদিনের ন্যায় চাঁদপুর থেকে লাকসাম পৌছালে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে তার পর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু আজ ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে গিয়ে ইঞ্জিন ডিলাইন হয়ে যায়। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়ে হাজার হাজার যাত্রী।
বিষয়টি নিয়ে টিম অগ্রযাত্রার প্রতিনিধি এল এম (লোক মাস্টার) আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান অধিক কুয়াশার কারনে সামনে কিছু দেখতে পাই নি।সব সময় ইঞ্জিন মেইন লাইনে দেয়,আমি বুঝেছি আজো মেইন লাইনেই দিয়েছে।কিন্তু পকেট লাইনে দিয়েছে তা আমাকে অবহিত করা হয়নি এবং আমার সাথে কোনো পি ম্যানও ছিলো না। যার ফলে আমি মেইন লাইনের গতিতে এগিয়ে যেতে থাকি,কিন্তু পকেট লাইনের শেষ প্রান্তে এসে সামনে লাইন না থাকার কারনে ইঞ্জিন টি লাইন থেকে সীমানা পিলার ভেঙ্গে লাইন থেকে পড়ে যায়। এতে করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রেলওয়ের ইঞ্জিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লাকসাম ইস্টেশান মো: মাস্টার মাহবুবর রহমানের সাথে দেখা করতে গেলে উনার অফিসের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়,এবং তাকে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন মেঘনার ইঞ্জিন সব সময় মেইন লাইনে দেয় কিন্তু আজ পকেট লাইনে কেনো দেয়া হলো? এবং পকেট লাইনে ইঞ্জিন দিলে পি ম্যান সাথে দিতে হয়,আজ কি পিম্যান ছিলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি পরে কথা বলবো বলে কল টি কেটে দেয়।
কিন্তু সূত্রমতে জানা যায় তিনি সকালেও ইস্টিশন উপস্থিত ছিলেন।
গত কাল রেলওয়ের মহা ব্যবস্থাপক চট্রগ্রাম (জি এম) নাজমুল ইসলাম ও চিপ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার(সি এম ই) আবু জাফর মিয়া লাকসাম পরিদর্শন করে যায় বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এমন উদাসীন কর্মকাণ্ডের কারণে রেল প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা লোকসান পোহাতে হচ্ছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলে রেল প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার লোকশান থেকে উত্তরণ করতে পারবে বলে অনেকেই মনে করেন।