ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর

আবহাওয়া কুমিল্লা জাতীয় পরিবেশ সারাদেশ স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন...

নিজস্ব প্রতিবেদক:-ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নগরবাসী ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে মশা নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশাসহ অন্যান্য মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে যেমন সিটি কর্পোরেশনকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে তেমনি নগরবাসীকেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ বিষয়ে শতভাগ সফলতার জন্য উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক।

তিনি বলেন, নাগরিকরা যদি তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে শুধু মাত্র সিটি কর্পোরেশনের একক প্রচেষ্টায় সকল সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজননে সহায়তা করি তাহলে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে মশামুক্ত নগর উপহার দেয়া সম্ভব হবে না।

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরবাসী যদি নিজেদের বাড়ীর আঙ্গিনা, ফুলের টব, এয়ার কন্ডিশনার বা বিশেষ করে নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবনের বেজমেন্ট এবং ছাদে পানি জমা না রাখেন তাহলে এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না।

তিনি বলেন, আর যদি পানি জমা থাকেও তাহলে তিনদিন পরপর পরিস্কার বা জমা পানিতে অল্প পরিমাণ কেরোসিন ঢেলে দেয়া হলেও এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না।

মন্ত্রী বলেন, উভয় সিটি কর্পোরেশনে দশ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, সেখানে দায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করবে। সরকারি-বেসরকারী যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং এনজিও কর্মীদের নিয়ে কমিটি করে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে দশটি সাব-জোনে ভাগ করে যদি একত্রে কাজ করা যায় তাহলে গত বছরের মতো এ বছরও সফলতা আসবেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শুধু উত্তর সিটি কর্পোরেশনেই নয়, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানীতে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্যই মশা নিধনের অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু রাজধানী নয়, সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভূক্ত করে ইন্টগ্রেটর ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.