রাতের আধাঁরে দুর্বৃত্ত কতৃক ফলন্ত বাগান ধ্বংস

আইন-অপরাধ আরো চট্টগ্রাম পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মোশারফ হোসেন, রামগড়
রামগড়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন পাঁচ একর বাগানের পেঁপে, মাল্টা, পেয়ারা ইত্যাদি ফলন্ত গাছ কেটে ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে বাগানের পাহারাদারকে জিম্মি করে দুর্বৃত্তরা ধারালো দায়ের কোপে নির্বিচারে গাছগুলো কেটে দেয়।
উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পাকলাপাড়া এলাকায় পাঁচ একর পাহাড়ি টিলা ভূমিতে গড়া জসিম উদ্দিনের ঐ ফলদ-বাগানে উন্নত জাতের পেঁপে,পেয়ারা, মাল্টা, রাম্বুটান ইত্যাদি সবগুলো গাছেই ফল ধরেছে।
বাগানের মালিক ও উদ্যোক্তা জসিম উদ্দিন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত হানা দেয় তার বাগানে। এসময় কুকুরের ডাকে ঘুম থেকে জেগে ঘরের বাহিরে বের হলে মুখোশপরা দুই দুর্বৃত্ত পাহারাদার জাফরুল্লাহকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। তারা প্রথমেই পাহারাদারের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে প্রাণ নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে বাহির থেকে দরজা আটকিয়ে দেয়। তাকে আটকিয়ে রেখে দুর্বৃত্তরা বাগানের সবগুলো ফলের গাছ ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কেটে সাবাড় করে দেয়।
জসিম বলেন, প্রায় রাত দেড়টা পর্যন্ত তারা তিন হাজারের বেশি ফলন্ত গাছ নির্বিচারে কাটে। এসব ফলের গাছের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার উন্নত জাতের ফলন্ত পেঁপে গাছ রয়েছে। খবর পেয়ে রবিবার সকালে বাগানে গিয়ে ফলন্ত-গাছগুলোর নিধনযজ্ঞ দেখে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, ঐ পাঁচ একর জায়গার মধ্যে দুই একর তার ক্রয় করা আর অবশিষ্ট তিন একর পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেওয়া। ২০২২ সালে বাগানটি গড়ে তোলেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম, বহু অর্থ ব্যয় করে বাগানটি গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু শত্রুর দায়ের কোপে তার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জায়গা কেনার পর থেকে স্থানীয় দুই অ-উপজাতিয় ব্যক্তি তাকে নানাভাবে উৎপীড়ন করছিল। প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত চাঁদাও দিতে হয় তাদেরকে। আরও চাঁদার জন্য ঈদের আগে থেকে বেশ চাপ দিচ্ছিল তারা। কিন্তু তিনি রাজী না হওয়ায় ঐ ব্যক্তিদ্বয় বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দিয়েছিল।
জসিম বলেন, ঈদের আগে এ হুমকি ধমকির বিষয় রামগড় থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তিরাই চাঁদা না পেয়ে বাগানের গাছগুলো কেটে দিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি রবিবার রামগড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো মনির হোসেন বলেন, অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.