বাঘারপাড়ায় একটি ঈদগাঁ ভেঙ্গে সৃষ্টি হলো ৫ টি; তবুও কাঁনায় কাঁনায় পূর্ণ

আরো ইসলামিক পরিবেশ রাজশাহী সারাদেশ
শেয়ার করুন...

সাঈদ ইবনে হানিফ ঃ
দুরত্বের আজুহাত, পারিবারিক অন্তর দন্দ, এবং গ্রুপিং উত্তাপটার কারণে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাগডাঙ্গা সম্মিলিত ঈদগাঁ ময়দান, ভেঙ্গে এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে ৫ টি ঈদগাঁ । প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বাগডাঙ্গা, ঘোষনগর, রাধানগর, ওয়াদীপুর, জামালপুর, ও জয়রামপুর এই ৬ টি গ্রামের মানুষ মিলে মিশে পবিত্র ঈদ উৎসব সহ সকল ধরনের আচার অনুষ্ঠান স্কুল মাঠ এবং ঈদগাঁ কেন্দ্রীক পালন করে আসছিল। দীর্ঘ বছর যাবত এই ধারাবাহিকতা অব্যহত ছিল । একপর্যায়ে বিগত কয়েকবছর আগে জয়রামপুর গ্রামবাসি দুরত্বের কারণ দেখিয়ে ঈদগাঁ থেকে চলে যায় । এর কয়েক বছর পরেই একই আজুহাত দেখিয়ে জামালপুর গ্রামের মানুষ তাদের নিজ গ্রামে ঈদগাঁ তৈরি করে । পরের বছর রাধানগর পূর্বপাড়ার মানুষ গ্রুপিংয়ের দন্ধে ঈদগাঁ ত্যাগ করে। তিনটি পক্ষ ঈদগাঁ ত্যাগ করে চলে গেলেও এই ঈদগাঁহে কিন্তু তেমন কোন প্রভাব পড়েনি – প্রতি টি ঈদে ঈদগাঁ থাকে পরিপূর্ণ এবং উৎসব মুখর পরিবেশ । এভাবেই চলছিল বিগত বেশ কয়েক বছর। কিন্তু গত বছর পারিবারিক গুরুপিং ( উত্তাপটার) কারণে একটি পক্ষ হঠাৎ করে দাবি তোলে ৩৬ বছর ধরে ইমামতি করে আসা ইমাম পরিবর্তনের। এই দাবির মধ্যে সময় কালক্ষেপণ করে হলেও ঈদগাঁ কমিটি বিষয় টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। তাদের খোড়া অভিযোগে একপর্যায়ে ইমাম পরিবর্তন করা হলেও গত বছর থেকে ওয়াদীপুর গ্রামের মানুষ আর সম্মিলিত ঈদগাঁ ময়দানে ফিরে আসেনি। পারিবারিক দন্দের কারণে তারা ওই গ্রামে দুটি ঈদগাহে ঈদের জামাত করছে । বর্তমানে এই ঈদগাঁ -র ইমাম নিযুক্ত হয়েছেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মাওলানা জালালুদ্দিন । এভাবেই কালক্রমে একটি ঈদগাঁ ভেঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে ৫ টি ঈদগাঁ । তবুও ঐতিহ্য গত ভাবে সম্মিলিত বাগডাঙ্গা ঈদগাঁ ময়দানে মুসল্লির কোন কমতি নেই । প্রতিটি ঈদে ঈদগাঁ থাকে পরিপূর্ণ । এবং বিরাজ করে উৎসব মুখর পরিবেশ । এবিষয়ে ঘোষনগর জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ সোহরাব হোসেন বলেন, মোসলমানদের ঈদ উৎসব সহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্মিলিত ভাবে একটি জায়গায় উদযাপন করার বিধান রয়েছে । তিনি বলেন, মোসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা কারি কখনই আল্লাহ ও প্রিয় রাসুলুল্লাহ অনুগত হতে পারে না । আর বাগডাঙ্গা বাজার মসজিদের ইমাম মাওঃ আব্দুল হালিম বলেন, মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার দন্দ ফ্যাসাদ এবং অন্তর দন্দ থাকতেই পারে কিন্তু এসব আজুহাতে ঈদগাঁ অথবা মসজিদ থেকে আলাদা হওয়া কোন ভাবে উচিৎ নয়। সকল ভেদাভেদ ভুলে আবার এই এলাকার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হোক বাগডাঙ্গা সম্মিলিত ঈদগাঁ ময়দান এমনটাই আশা করেন তিনি ।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.