বগুড়া শেরপুরে ৩২ বছর ধরে কাপড় সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করছেন মান্নান মন্ডল

অর্থনীতি আরো পরিবেশ রাজশাহী সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর শহরে প্রায় ৩২ বছর ধরে নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কাপড় সেলাই করে পোশাক তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন মোঃ মান্নান মন্ডল (৪৫)। ২৩ মার্চ শনিবার তার সাথে একান্তভাবে সাক্ষাতকালে জীবন যুদ্ধের প্রতিটি কথাগুলো বলেন। মোঃ মান্নান মন্ডল শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খাগা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে তিনি। জীবন জীবিকার তাগিদে মান্নান মন্ডল ১৯৯২ সাল থেকে কর্মজীবন শুরু করেন শেরপুর শহরে দর্জির পেশায় কারিগর হিসাবে । এই সময়ে প্রথমে একটি দোকানে তিন মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শিখে শেরপুরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে দর্জির কারিগর হিসাবে সুনামের সহিত কাজ করেছেন সেগুলোর নাম হলো; সানমুন টেইলার্স, নিপ্পন টেইলার্স, জিএম টেইলার্স, এশিয়া টেইলার্স, স্টাইল টেইলার্স, ফেমাস টেইলার্স। এরপর তিনি ২০১৮ সালে নিজস্ব প্রচেষ্টায় নিজের দোকানের কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শেরশাহ নিউ মার্কেটে নাঈম কাটিং ফিটিং এন্ড টেইলার্স নামে একটি পোশাক তৈরির নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে সে নিয়মিত কাজ করছেন। তার পরিবারে স্ত্রীসহ একটি কলেজ পড়ুয়া সন্তান আছে। মান্নান মন্ডল বলেন নিজের মেধা ছাড়া কেউ কখনো সহযোগিতা করেনা তাই অনেক কস্টের জীবন পার আজ এখানে এসেছি। বর্তমানে টেইলারিং জগতে দোকানের সংখ্যা বেড়েছে বেশি, বাড়ছে কাপড় তৈরী করার সামগ্রীর খরচ। ফলে ইনকাম বেশি হলেও খরচের পাল্লা ভারি বেশি। বর্তমানে বগুড়া শেরপুরে আমার কাছে মজুরি একটু কম কারণ আমি ফিটিং কাজ বেশি করি, প্যান্ট, সার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জামা, পায়জামা, বোরকা ইত্যাদি যাবতীয় কাপড় কাটিং করে ফিটিং কাজ করি। এছাড়াও পুরাতন কাপড় কাটিং করে সেলাই করি। এতে দৈনিক আয় সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৮ শত টাকার মতো, অনেক সময় তারও বেশি হয়। তবুও দোকান খরচ বাদ দিয়ে জীবন সংসারে এই সামান্য রুজির টাকা দিয়ে সচ্ছলভাবে চলা কঠিন হয়ে যায়। তবে আমি ভালো আছি এই ভেবে যে হালাল রুজি করছি সারাটাজীবন সত্য পথে চলছি এজন্য মহান আল্লাহতাআলা কাছে শুকুরিয়া আদায় করছি বাকিটা জীবন যেন হালাল রুজি করে কাটাতে পারি। তবে এই জীবন সংগ্রামের সময় সরকারি কোনো ভাতা বা সহায়তা এখন পর্যন্ত তাঁর কপালে জোটেনি। কারণ তাদের নিয়ে কেউ কখনো ভাবেই না মনে হয় তিনি বলেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *