চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে যাওয়া এস আলম সুগার রিফাইন্ড মিলে থাকা চিনির ৮০ শতাংশই রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় আগুন লাগা চিনিকল পরিদর্শন করে একথা বলেন তিনি।
আর আগুনে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তাতে বাজারে চিনির সরবরাহ ও দামে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন এস আলম সুগার রিফাইন্ড মিলের কর্মকর্তা।
সোমবার বিকাল চারটার দিকে দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের চিনিকলের পাঁচটি গুদামের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে। সেখান এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিলো।
চারদিন আগের আগুন নেভাতে এদিন ভোর থেকেই তৎপর দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। আগুনের হলকার কারণে গত তিনদিন গুদামের উপরের অংশে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এদিন সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে আগুনে পোড়া এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফায়ারের মহাপরিচালক।
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আগুন লাগা গুদামটি ১২০ মিটার লম্বা। সেখানে থাকা এক লাখ টনেরও বেশি চিনির ৮০ শতাংশই রক্ষা পেয়েছে।
আর ঠিক কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা বের করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি কাজ করছে বলে জানান মাইন উদ্দিন।
আগুনের খবর পাওয়ার পর থেকেই চিনিকলটিতে নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডজনখানেক ইউনিট। সঙ্গে আছে পুলিশসহ তিন বাহিনীর সদস্যরাও।
কারখানা থেকে পানি মিশ্রিত কালো রঙের গলিত চিনি খাল-নালা হয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তিনদিনেও নেভেনি চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিলের আগুনতিনদিনেও নেভেনি চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিলের আগুন
এদিকে দেশের অন্যতম বড় অপরিশোধিত চিনি আমদানিকারক এস আলমের গুদামে আগুন লাগার খবরে চট্টগ্রামের বেড়েছে চিনির দাম।
তবে এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আকতার হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রমজানে মিল থেকে চিনি সরবরাহে কোনো প্রভাব পড়বে না এবং শনিবার থেকে পুরোদমে পরিশোধিত চিনি বাজারে যাবে।
আর আগুন থেকে যে চিনি রক্ষা পেয়েছে তা বিএসটিআইসহ বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান মিলটির কর্মকর্তারা।