দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি ::তৌফিকুর রহমান তাহের
শাল্লায় সাহিত্য সম্মাননা উৎসবে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাহিত্যে পুরস্কৃত দৈনিক প্রথম আলোর সিলেট বিভাগের ব্যুরোচীফ সুমনকুমার দাশ। তিনি বলেন আমি সাধক, ফকির, বাউল ও সাধু সন্ন্যাসীদের নিয়ে কাজ করি। এই অঞ্চলের ‘বারো মাসে তেরো পার্বন’-এই গল্পগুলো বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমি এপ্রজন্মের তরুণদের কাছেও এসব সংস্কৃতি তোলে ধরার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। অথচ মানবিক হতে চাইনা। এটি খুবই দুঃখজনক। আমাদেরকে মানবিক হতে হবে। যতক্ষণ আমরা আমাদের পাশের বাড়ির গরীব মানুষটিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে না পারব, ততক্ষণ আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি কোনোটাই জনকল্যাণে কাজে লাগবে না। আমি এখানে কথা বলতে পারছি। কেননা, এমাটিতেই আমি জন্ম নিয়েছি। ২৫ফেরুয়ারি দুপুরে উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে দিরাই শাল্লা কালচারাল এন্ড এসোসিয়েশন (ইউকে)-এর আয়োজনে সাহিত্য সম্মাননা অনুষ্ঠানে লোক সংস্কৃতি গবেষক, সাংবাদিক ও বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত সুমনকুমার দাশ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ইউকে সংগঠনের খালেদ রেজা খানের সভাপতিত্বে ও শাহজাহান সিরাজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাশ, সিলেট বাংলাদেশ বেতারের উপ পরিচালক প্রদীপ কুমার দাশ, শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম। অনুষ্ঠানে লেখক ও গবেষক সুমনকুমার দাশকে সাহিত্যে পুরস্কৃত হওয়ায় সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।