তৌফিকুর রহমান তাহের দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আভা রাণী তালুকদার।
আভা রাণী তালুকদার শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের সরকার বাড়ির রাকেশ রঞ্জন সরকারের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের উজান যাত্রাপুর গ্রামের সীতেশ তালুকদার-এর স্ত্রী। উনি শাল্লার সাংবাদিক সন্দীপন তালুকদার সুজনের মা। আভা রাণী তালুকদার শিক্ষিত, কর্মঠ, সজ্জন, আদর্শিক, নীতিবান ও পরোপকারী।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বিষয়ে আভা রাণী তালুকদার প্রতিবেদকে জানান, আমি বহুদিন যাবত জনসেবার সাথে সম্পৃক্ত আছি। বিগত বন্যায় কবলিত প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র ও গ্রামে গিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়েছি। করোনা মহামারী সময়ে নিজের জীবন উপেক্ষা করে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল করোনা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবার দিতে আমার ছেলেকে দিয়ে ফ্রীতে সার্ভিস দিয়েছি। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছি। আমাদের এলাকায় সবপেশার মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমি এই উপজেলার একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মানুষের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। আমি ২০১৬ সালে বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সাধ্যমতো এলাকার উন্নয়নের কাজ করেছি। যেমন- সুখলাইন গ্রামে ভৈবর ছায়া মন্দির নির্মাণ ও মেইনরোড হতে এর সমমান উচ্চতায় গ্রামের রাস্তা নির্মাণ। আঙ্গারুয়া গ্রামের সার্বজনীন শিব মন্দির প্রাঙ্গণে পানির টিউবওয়েল স্থাপন। হরিনগর গ্রামের সার্বজনীন রূপসী ছায়া মন্দির ও হাওরের রাস্তা নির্মাণ। নয়াগাঁও লক্ষী মন্দির প্রাঙ্গণে পানির টিউবওয়েল স্থাপন। গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে টয়লেট নির্মাণ। বাহাড়া গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও নতুন হাটিতে পানির টিউবওয়েল স্থাপন। পোড়ারপাড় ব্রীজের এপ্রোচ ও হাওরের রাস্তা নির্মাণ। শিবপুর গ্রামের মানুষ বর্ষায় নৌকায় উঠার সুবিধার্থে পাকাঘাট নির্মাণ। রঘুনাথপুর গ্রামে পাকাঘাট নির্মাণ। বাগেরহাটি হাওরের রাস্তা নির্মাণ। কলাকান্দি গ্রামে কালিমন্দির নির্মাণে অর্থনৈতিক সহায়তা ও গ্রামের পাকাঘাট নির্মাণ। কান্দখলা গ্রামের সংযোগ রাস্তা নির্মাণ। যাত্রাপুর গ্রামের মাদার ফকির আশ্রমের রাস্তা নির্মাণ। উজান যাত্রাপুর দূর্গা মন্দির নির্মাণ ও পানির টিউবওয়েল স্থাপন। যাত্রাপুর নতুন হাটির পাকা ঘাট নির্মাণ। কান্দখলা শশান ঘাটে মাটি ভরাট। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছি।
এছাড়াও আমি নিজস্ব অর্থায়নে হরিনগর স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিন বক্স বিতরণ। বাহাড়া হাওরে কৃষকদের সুবিধার্থে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ। উজান যাত্রাপুর গ্রামে হাওরের রাস্তা নির্মাণ। সুখলাইন হতে আঙ্গারুয়ার রাস্তায় মধ্যবর্তী স্থানে বন্যার ভাঙ্গনে জনগণ শাল্লা সদরে চলাচলের সুবিধার্থে সাঁকো নির্মাণ সহ বিভিন্ন অসহায় মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করেছি।
তিনি আরও বলেন, জনগনের যেকোন প্রয়োজনে পাশে থেকেছি এখনও আছি। তাই আমি মনে করি, এই হাওর এলাকায় যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ মানুষের জীবন মানোন্নয়ন বিশেষ করে শিশু ও নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমি কাজ করার মনোবাসনা নিয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছি। যদি আপনাদের আশীর্বাদ/দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে ভাটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আমার কাজ করা অনেকটা সহজ হবে।