রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
শান্তির জনপদ বরিশালের বানারীপাড়ায় নির্বাচনী সংঘাত-সহিংসতায় হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নৌকার সমর্থকদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরে বাংলার দৌহিত্র একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৫-১৬জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় ১৪/১৫টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের বটতলা ও বাইশারী ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও আনসার সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় গুরুতর আহত নৌকার সমর্থক বানারীপাড়া সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির মল্লিক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মু মুন্তাকিম লস্কর কায়েস,যুবলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ,আতিক বাপ্পী,মনির খান,পলাশ খান,সিরাজুল ইসলাম মিঠু,রাজু,শামীম,মিলন,জুয়েল ডাকুয়া,মনির খলিফা,মাসুম খান,রোকনুজ্জাামান রাসেল ও সিরাজ ফকির এবং ঈগলের সমর্থক সাইজউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম শান্ত প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান,তারা ৭/৮ টি মটরসাইকেলে মঙ্গলবার দুপুরে ২০-২২ জন নেত-কর্মী নিয়ে বিশারকান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে বটতলা বাজারে পৌঁছলে হঠাৎ ৪০/৫০টি মটরসাইকেল নিয়ে ঈগলের সমর্থক যুবলীগ নেতা মহসিন,জুলহাস,তারেক,উজ্জ্বল ও সাইজউদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক সমর্থক হাতুড়ি,লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় মটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এদিকে বিশারকান্দিতে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে উপজেলার পশ্চিম বাইশারী এলাকায় তাদের আটকানোর চেষ্টার সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সেখানেও কয়েকজন আহত হন। এসময় ১৪-১৫টি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুজর মো. ইজাজুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এদিকে এর প্রতিবাদে ওইদিন সন্ধ্যায় বানারীপাড়া পৌর শহরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম ফারুক বলেন,নৌকার গণজোয়ার ও নিজেদের পরাজয় আচ করতে পেরে ঈগলের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে এবং নিজেরা মটরসাইকেল পুড়িয়েছে। এ ব্যপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ প্রসঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন,প্রধানমন্ত্রীর শান্তিপূর্ণ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে অঙ্গীকার তা ভুলুন্ঠিত করতে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা-কর্মীরা তার সমর্থকদের ওপর হামলা ও মটরসাইকেল পুড়িয়েছে।