মোঃ শাকিল আহমেদ, বামনা( বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বিভীষিকাময় সুগন্ধা ট্রাজেডির দুই বছর পার হতে চলছে। ২০২১ সালে ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চ। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এসে রাত সাড়ে তিনটায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে। লঞ্চে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ৪৯ জন আগুনে পুড়ে মারা যায়, ৭২ জন চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের দুটি বছর পার হলেও এখনো নিখোঁজ মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি, পরিজনের না পাওয়ার বেদনায় এখনো আশায় বুক বেধে রাখে নিখোঁজ পরিবারগুলো।
গত ২০২১ সালের (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত শুরু হয়। লঞ্চটি তখন নলছিটি উপজেলা ক্রস করছিলো। আগুন লাগার পরে লঞ্চটি নলছিটি ঘাটে ষ্টপেজ করেনি। এমনকি ঝালকাঠি ঘাটে ষ্টপেজ করেনি। লঞ্চটি প্রায় ১ ঘন্টা ধরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চলতে থাকে। তখন দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে ছিল লঞ্চটিতে। পরে লঞ্চটি ঝালকাঠির দিয়াকুল গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। এসময় ভাগ্যক্রমে অনেক যাত্রী লঞ্চ থেকে তীরে নামতে পেরেছিল। সাতরে অনেকে তীরে উঠতে পারলেও অনেক যাত্রীর সলিল সমাধি হয় সুগন্ধা নদীতে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম ঘটনাস্হলে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেদিনের লঞ্চ দূর্ঘটনার ট্রাজিডিতে ৪৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুড়ে মারা যায়। ৭২ জন যাত্রীকে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অনেকের অবস্থা আশংকা জনক হলে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় আরো তিন জনের মৃত্যু ঘটে। অনেকের লাশ বিষখালী নদীর চড়ে, জালেও আটকা পড়েছিল।