ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বরের জন্য একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে, কারণ সূর্যের করোনায় ভয়ঙ্কর ঝড় (coronal mass ejections বা CMEs) উঠেছে। আর সেই সৌরঝড় তেড়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।সর্বশেষ মডেল অনুসারে, এই CMEs, ১৬ ডিসেম্বর ও আগামীকাল এই সৌরঝড়ের দাপট থাকবে। ১৮ তারিখ তেজস্ক্রিয় রশ্মি পৃথিবীর দিকে ছুটে আসবে।
এই সম্ভাব্য সৌরঝড়ের উৎস হল সানস্পট AR3514, যেটি উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয়, ১৩ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শিখা নির্গত করছে। এই সিএমইগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল একটি X2.8-শ্রেণির ফ্লেয়ারের সাথে যুক্ত সৌরঝড়। এই শিখাটি একাই সপ্তাহান্তে একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সূত্রপাত করার জন্য যথেষ্ট শক্তি বহন করে। NOAA বিশ্লেষকরা G2-শ্রেণির (মধ্যম) ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যেখানে পরিস্থিতি G3-শ্রেণির (শক্তিশালী) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের একটি শক্তিশালী ঝড়ের ফলে মধ্য-অক্ষাংশে দৃশ্যমান প্রাণবন্ত অরোরা হতে পারে, যা চাঁদের আলোর অনুপস্থিতিতে একটি দর্শনীয় প্রাকৃতিক আলো প্রদান করতে পারে।
ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, সূর্যের পরিমণ্ডলে একটি ছিদ্র লক্ষ্য করা গেছে। সেই ফাটল পথেই প্রবল বেগে সৌরবায়ু ছিটকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সানস্পট AR3514 থেকে ধেয়ে আসছে সৌরকণারা। G3 ক্লাসের সৌরঝলক বা সোলার ফ্লেয়ার ঢুকে পড়বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। সংঘাত হবে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়, যেমন সুন্দর অরোরা তৈরি করে, তেমনি এর গুরুতর পরিণতি হতে পারে, যার মধ্যে গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএস) এর মতো ন্যাভিগেশন সিস্টেমের ব্যাঘাত,পাওয়ার গ্রিড এবং পাইপলাইনের ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে