চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বাড়াদি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ভারতীয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ইত্তেফাককে নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান। তবে এখনও পরিবারের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে লাশ ফেরত নিতে পরিবারের লোকজন স্থানীয় বাড়াদি বিজিবি ক্যাম্পে লিখিত জানিয়েছে।
নিহত দুই বাংলাদেশির পরিচয়- দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল হক (২৭) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩০)। নিহত সাজিদুল ইসলামের ১ ও খাজা মঈনউদ্দিনের ৩ সন্তান আছে।
সূত্র জানায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে কয়েকজন প্রতিবেশীকে তারা বাড়াদি সীমান্তের দিকে আসতে বলেন। মধ্যরাতে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ কানে আসে প্রতিবেশীদের। রোববার সকালে ওই দুই বাংলাদেশির নিহতের খবর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় বিজিবি।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন শনিবার রাতে বাড়াদি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে গরু আনতে যায়। সেখানে ভারতের বিজয়পুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে এই দুজন নিহত হন। তাদের লাশ এখনও (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ভারতে আছে।’
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘দুজন বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল। ভারতের কৃষ্ণনগর থানাধীন এলাকায় বিএফএফের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। লাশ সেখানে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অবৈধভাবে গরু নিয়ে আনতে গেছিল।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬-এর ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আশিক আহম্মেদ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক ও অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক