প্রতিনিধিঃ
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লার ঠিকাদার এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক পাপন কুমার সাহা এজাহারে উল্লেখ করেন, কুমিল্লর মনোহরগঞ্জ থানার লক্ষণপুর গ্রামের কামাল হোসেন (৩৪) একজন ঠিকাদার। ২০০৭ সালে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানকালে, ঠিকাদার কামাল হোসেন নিজ নামে ৫ কোটি ১১ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, তিনি ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলো। তদন্তে আরও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেলে সেটাও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লার আদর্শ উপজেলায় তার নামে ১০ তলায় দুটি ফ্লোর ও ছয়তলা ভবন, কুমিল্লা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ শতাংশ জমি, টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আট কোটি টাকার বেশি অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। মাত্র ১১ বছরে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। যে কারণে তার নামে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমি মামলার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে কথা বলব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মো. কামাল হোসেন নিজেকে এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দেন। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তিনি। বাবা কৃষিকাজ করতেন। এক সময় মো. কামাল হোসেন কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে দালালি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে ঠিকাদারি শুরু করেন। কয়েক বছর পর এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একের পর এক সম্পদের পাহাড় গড়েন। সুত্র: কুমিল্লার কাগজ