নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির অভিযোগের স্তুপ

আইন-অপরাধ আরো খুলনা রংপুর শিক্ষা শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ
শেয়ার করুন...

জিকে রউফ, নীলফামারী থেকে:
জেলার সদর উপজেলার ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ (পিসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী পদের বিল প্রস্তুত করণে ওই স্কুলের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করেছেন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক শ্রী গনপতি রায়। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও পুরনো সরকারী বই বিক্রিতেও রয়েছে অনিয়ম। এমন নানাবিধ অভিযোগের স্তুপ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের খোদ সভাপতি বাবু কালীদাস রায়।

এদিকে, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীগণের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণসগহ (সমাজ-বিজ্ঞান) শুন্য পদে যোগদানকৃত একজন শিক্ষককেও দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ হয়রানী করছেন মর্মেও উল্লেখ করে রেজুলেশন প্রস্তুত করেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবু কালীদাস রায়সহ অন্যান্যরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অভ্যন্তরিন কোন্দলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী গনপতি রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে সকল কোন্দল মিটমাট হয়ে গেছে, স্থানীয় লক্ষীচাপ ইউ,পি চেয়ারম্যান মিটমাট করে দিয়েছেন”। কবে? আর কিভাবে মিটমাট হলো? এ বিষয়ে কোন রেজুলেশন প্রস্তুত করা হয়েছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওগুলো আপনার জানার দরকার নেই, আপনারা আসছেন তেল খবচ নিয়ে চলে যান, এর আগে যারা (সাংবাদিক) আসছিল আমি সবাইকে তেল খরচা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি”। সাংবাদিক আসলেই তেল খরচ দিতে হবে? কেন দেন? উত্তরে প্রধান শিক্ষক কোন কিছু না বলেই সাংবাদিকদের হাতে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ৫শত টাকার একগুচ্ছো নোট।

জানতে চাইলে, ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী কালীদাস রায় বলেন, “আমি প্রধান শিক্ষক শ্রী গনপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু বিষয়টি আমরা নিজেরাই মিমাংসা করে নিয়েছি” আমি আর কিছু বলতে পারবো না” বলে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ছুটিতে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে, স্থানীয়রা বলছেন, ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কোন্দল দীর্ঘ দিনের। একের পর এক কোন্দল উত্থাপিত হয়,আবার সেটি কিছুদিন চলমান থাকার পর পুনরায় মিমাংসা হয়ে যায়। তবে উভয়ের মধ্যকার কোন্দলগুলির মিমাংসার পেছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত থাকে। ফলে, উভয়ের মধ্যকার কোন্দলে ব্যহত হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অভ্যন্তরিন কোন্দল নিরশনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় অভিভাকেরা।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.