শাল্লা থেকে তৌফিকুর রহমানসুনামগঞ্জের শাল্লায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভবন থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। প্রায়ই অগ্নিকান্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি জ্বলেপুড়ে নিঃশ্ব হচ্ছে অনেক পরিবার । শাল্লা উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার যেন প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিস একসূত্রে জানাযায়, গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করেই ২০১৮ সালে ১ নভেম্বর উদ্ধোধন করা হয় শাল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। এখনও বিল্ডিং বুঝিয়ে দেয় নি বিধায় ফায়ার সার্ভিসের কোন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। পুনরায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী ও মার্চের মধ্যে উদ্ধোধন হওয়ার কথা ছিল শাল্লা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা। এখন কবে নাগাদ উদ্ধোধন হবে তা নিশ্চিত করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। শাল্লা ফায়ার স্টেশনের প্রয়োজনীয় মালামালগুলো সুনামগঞ্জ আছে এর মধ্যে গাড়ী ও ইঞ্জিন সচল রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে ১০-১২ লোক পোস্টিং হয়েছে কিন্তু দুজন ছাড়া বাকী সব অন্যান্য জায়গায় কর্মরত আছেন।
এবিষয়ে শাল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে দায়িত্বরত জয়ন্ত সিংহ বলেন, এখানে আমি আর বাবুর্চি ছাড়া কেউ নেই। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। কাজ চালুর বিষয়ে জেলা ও বিভাগীয় স্যার ভাল করে বলতে পারবেন। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু না হওয়ায় জনগণ সেবা থেকে সম্পুর্ণ বঞ্চিত হচ্ছে।
এব্যাপারে বাহাড়া ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন, আমরা চাই দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু হতে।
কয়েক মাস পূর্বে রঘুনাথপুর গ্রামে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। যদি ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চালু থাকত তাহলে এতো ক্ষতি হতোনা।
এবিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ ইকবাল শিকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বিল্ডিং বুঝে নিচ্ছে না। কেন নিচ্ছে না বললে ? প্রতিবেদককে জানান, উনারা (ফায়ার সার্ভিস) যে বিষয়টা বলছেন রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বড় গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হবে। রাস্তাতো মূলত আমাদের না। আর বিল্ডিংয়ের কাজ প্রায় শেষ সামান্য যে কাজ বাকী আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক তারেক ভূইয়া জানান, কিছু কাজ বাকী আছে আমি সুনামগঞ্জের গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি উনারা আগামী একমাসের মধ্যে কমপ্লিট করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শাল্লার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধোধন বেশ আগেই করেছেন। গণপূর্ত বিভাগ আমাদেরকে এখনও বিল্ডিং বুঝিয়ে দেয় নাই বলে আমরা চালু করতে পারছি না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, অফিসের সামনে রাস্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হলে এখানে কিছু সরকারি জায়গা বেদখল আছে। আমার কাছে ফায়ার সার্ভিসের কর্তৃপক্ষ বললে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।