টেলিকম ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের সংকেত। এখন থেকে সিম কার্ড বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের একাধিক নিয়ম মানতে হবে। না মানলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। সিম জালিয়াতি বন্ধে রবিবার (১ অক্টোবর) থেকে এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন বা DoT এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, বিক্রেতারা কোনও ভুয়া সিম কার্ড বিক্রি করতে পারবেন না। এতদিন ধরে যে অভিযোগ উঠে আসছিল, তারও কিছুটা সুরাহা হবে।
কী সেই অভিযোগ? দিনের পর দিন দেশে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড বিক্রয় করা হচ্ছিল। তার মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সেই সব সিমগুলো অন্য কারও নামে রেজিস্টার্ড। এখন সিম কার্ড বিক্রয়েই যদি কড়াকড়ি করা যায়, তাহলে এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা কমবে বলেই মনে করছে ভারত সরকার।
নতুন নিয়মটি কার্যকর হলে আগে থেকে অ্যাক্টিভেট করা সিম অন্যের হাতে তুলে দিতে পারবে না বিক্রেতারা। ফলে, বিক্রেতাদের সিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই সজাগ রেখে ক্রেতাদের সমস্যা দূর করতে চাইছে ডিপার্টমেন্ট অফ ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন বা DoT। শুধু তাই নয়। একজন সিম বিক্রেতাকে তাঁর দোকানের কর্মীদের সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করে রাখতে হবে। দোকানের কর্মীদেরও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
এখন কোনও সিম বিক্রেতা বা দোকানদার যদি এই নিয়মগুলি লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। ভারতের DoT-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেকটি সিম কার্ড দোকানে (রিটেল) একটি কর্পোরেট আইডি নম্বর বা CIN নম্বর জারি করা হবে। এই জরুরি নম্বরটি ছাড়া কেউ সিম কার্ড বিক্রি করতে পারবেন না।
এখন একটা রিটেল দোকানকে DoT-এর অধীনে রেজিস্টার করতে আধার, প্যান, পাসপোর্ট এবং জিএসটির বিশদ বিবরণ দিতে হবে। কোনও দোকান রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সিম কার্ড বিক্রি করতে পারবে না। এই রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যদি কোনও দোকান সিম কার্ড বিক্রি করে, তাহলে তার আইডি ব্লক করে দেওয়া হবে।
কোনও ব্যক্তি যদি সিম কার্ড হারিয়ে ফেলেন বা তা যদি ভেঙে ফেলেন, তাহলে তাঁকেও একটা ভেরিফিকেশন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ভারতীয় Jio, Vi, Airtel-কে সিম কার্ড বিক্রয়ের এই নিয়মগুলি কঠোর ভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভি