কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ রেলপথ উদ্বোধন করেন। লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনে প্রান্তে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রেলপথমন্ত্রী মো.নূরুল ইসলাম সুজন,
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বরুড়া আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, চাটখিল- সোনাইমুড়ি আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম, কুমিল্লা জেলাপ্রশাসক শামীম আলম,পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান (বিপিএম) প্রমুখ।
রেলওয়ের সুত্রে জানা যায়, দেশের প্রধান এ রেলরুটে দিনে ২৩টি ট্রেন চলত। ডাবল লাইনে উন্নীত হওয়ায় এখন ৭২টি ট্রেন চলতে পারবে। এখন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়।৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে যেতে আগে সাড়ে ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় কম লাগবে। ট্রেনের গতিও বাড়বে ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার।
আখাউড়া-লাকসাম রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ হয় ২০১৬ সালের ১৫ জুনে। তারপর প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং তা ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কাজ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত এই সময়েও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। পরে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সেটাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্প ব্যয় কমে। সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় ছয় হাজার ৫০৪ কোটি থেকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা হয়। খরচ কমে ৯২১ কোটি টাকা।