মোঃ রেদওয়ানুর হক শুভ, ববি প্রতিনিধিঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) হলগুলো থেকে বারবার বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেনের পদত্যাগের দাবি তোলে তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বেলা ১ টায় একাডেমিক ভবনের নীচ তলায় (গ্রাউন্ড ফ্লোর) সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অংশগ্রহণকারীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে বারবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটলেও হল প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছে। এতে সন্ত্রাসীরা অভয় পেয়ে শিক্ষার্থীদের সামনেই দিনে – দুপুরে হলে অস্ত্র মজুদের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হলে শিক্ষার্থীদের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টকে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানানো হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেন নি। মঙ্গলবার ভোররাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শৌচাগারে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করে তাকে জানালেও তিনি হলে আসেন নি। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না বিধায় আমরা রাস্তায় নেমেছি৷
এসময় শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, যদি হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোন উদ্যোগ হল কর্তৃপক্ষ নিতে ব্যার্থ হয় তবে তাদের দায়িত্ব থাকা অনুচিত৷ হলে অস্ত্র মজুদের ঘটনায় জড়িতদের বিচার না করতে পারলে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে হবে৷ অন্যথায় ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা৷
সমাবেশে বক্তব্য দেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোঃ রাকিব হাসান রনি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রুম্মান হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের রাজু মোল্লা,ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইরাজ রব্বানী প্রমুখ। এসময় অস্ত্র মজুদের ঘটনার বিচারের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোররাতে বঙ্গবন্ধু হলের ৫ম তলার বাথরুম থেকে দা, কাঁচি, পাইপ, স্ট্যাম্প সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে হল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ৩ জুন শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষ থেকে দুই শতাধিক জিআই পাইপ, রড, দা সহ নানাপ্রকার অস্ত্র উদ্ধার করে হল প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করে শেরে বাংলা হল কর্তৃপক্ষ।