হারুনুর রশিদ, শেরপুর
শেরপুরের নকলায় গনপদ্দী ইউনিয়নের গনপদ্দী পশ্চিমপাড়ার আবুলকালাম আজাদ নামের এক কৃষক প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপিরচাষ করেছে। প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি এইকৃষক। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।রঙিন এ ফুলকপিতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিনছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এদিকে নিয়মিতমাঠ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলাকৃষি বিভাগ।উপজেলা কৃষি বিভাগ জানা গেছে, দেখতে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের‘রঙিন’ ফুলকপির বাংলাদেশে চাষাবাদ শুরু হয় ২০২১ সালে।ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায়প্রথমবার ননøক্রিপার জাতীয় সবজি চাষ প্রদর্শনী মাঠে‘উন্নত জাত ব্যবহার ও পরিবেশ বান্ধব কৌশল’ব্যবহার প্রয়োগকরে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জামালপুর থেকে ২ হাজারচারা এনে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমকদেখিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ লিটন।কৃষক আবুল কালাম আজাদ লিটন জানান, ১৫ শতক জমিতেচারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। চারারোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙ্গিন ফুলকপি।বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। তারআশা বাগান থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবেপুষ্টিগুণে ঞপর এই রঙ্গিন ফুলকপি।কৃষক আরও জানান, মজারব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেনচাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। কেউবা আসছেনবাগানে রঙ্গিন কপি কিনতে। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রইবিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।রঙিন ফুলকপির ভালো ফলন দেখেআগামী বছর নিজেও চাষ করতে চান আরেক চাষি হলটু মিয়া।তিনি বলেন, কৃষক আবুল কালাম আজাদ লিটন যখন রঙিনফুলকপি চাষ করলেন তার ফলন কেমন হয় তা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।শেষে দেখলাম, ফলন বেশ ভালোই হচ্ছে। আগামীবার আমিও অন্যান্যসবজির সাথে রঙিন ফুলকপি চাষ করব।