হারুনুর রশিদ শেরপুর :
শেরপুরে পুলিশের সাথে বিএনপি’র সংঘর্ষে অর্ধশতাধিকনেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলেব্রাহ্মনবাড়িয়ায় নিহত ছাত্রদল কর্মী নয়ন মিয়াকে হত্যারপ্রতিবাদে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুলহক রুবেলের বাসার সামনে থেকে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটিবিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় এই মিছিলে বাঁধা দেয় পুলিশ।এতে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরে বিক্ষোব্ধবিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।লাঠিচার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে নিউমার্কেট মোড়েবিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করেইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশও পাল্টা টিয়ার সেল ও রাবারবুলেট ছুড়ে। এক পর্যায়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়েপড়ে। এসময় পুলিশ অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে। সংঘর্ষেরঘটনায় ৭ পুলিশ সহ প্রায় অর্ধশত বিএনপি নেতাকর্মী ওপথচারী আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে শহরের রাস্তাঘাটেযান চলাচল ও বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শহরেথমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ওসাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল সাংবাদিকদের জানান,আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে অতি উৎসাহি হয়ে পুলিশঅহেতুক লাঠি চার্জ ও গুলি চালিয়েছে। পাশাপাশি শতাধিকনেতাকর্মীকে আটক করেছে। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদজানাই।এবিষয়ে এএসপি সার্কেল (সদর সার্কেল) আ. হান্নানমিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের নামে শহরেনাশকতার চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেলনিক্ষেপ করেছে। এতে পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। এঘটনায়দায়ীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।