মিন্টু ইসলাম শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে আমন ধানের জমিতে সোনালী ধানের শীষে ছেয়ে গেছে। সব জমিতেই আশানুরুপ ফলনের আশা করছেন চাষীরা। এরই মধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাতে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার প্রায় ২২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। গুটি স্বর্ণা, বিআর-১১, ৪৯, রঞ্জিত জাতের ধানের আবাদ বেশি। চলতি মৌসুমে বগুড়া শেরপুরে গাড়ীদহ ইউনিয়নের মাগুরগাড়ী এলাকার ধান চাষী আব্দুস সামাদের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, প্রথমে মনে করেছিলাম হয়ত এবার আমন ধনের ফলন ভালো হবে না। কারণ এক দিকে যেমন খরা অন্য দিকে পোকা-মাকরের কারনে ফসল মার খেতে বসেছিলো। কিন্তু এখন দেখছি ধানের মান ভালো হয়েছে। এছাড়াও কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে বি আর ৪৯ জাতের ধান আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ প্রায় ১১ হাজার টাকা। তবে ২০ মন হারে জমিতে ফলন হয়েছে। ধানের দাম বেশি থাকায় ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা বিঘা প্রতি লাভ হবে। বাংড়া গ্রামের ধান চাষী মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার পোকার মাকড় বেশি দেখা দিলেও কিটনাশক প্রয়োগ করার পর তা সেরে গেছে। আমি এবার ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা লাভ হবে।
শেরপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম মাসুদ বলেন, সময়মত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করায় ভালো ফলন হয়েছে। শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে কৃষি কর্মীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। এ ছাড়াও চাষীরা আমন ধানের ফলন ভালো করার জন্য উঠে-পরে লেগেছিলেন।