১৯ কিলোমিটার সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণ/ বাঘাইছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৮টি পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবি

আইন-অপরাধ আরো চট্টগ্রাম পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি আর্য্যপুর গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাশিকা চাকমা।

লিখিত বক্তব্যে রাশিকা চাকমা বলেন, ‘উপজেলার বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে স্থানীয় জুম্ম পরিবারগুলো ঘর-বাড়ি, বাগান-বাগিচা, দোকানপাট ধ্বংস হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কোনো ধরণের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। আমরা জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেছি। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি তাই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই ইউনিয়নের মধ্যকার ১৯ কিলোমিটার সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১৮৮টি পরিবার ফলজ, বনজ বাগানসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। হিসাব করে দেখা গেছে, দুই ইউনিয়ন মিলে ১১ একর ৫৪ শতক জমির ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিরুপম চাকমা জানান, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে জেলার লংগদু, কাউখালী, বরকল, নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে এসব এলাকায় বসতিস্থাপন করে বসবাস করে আসছেন। এলাকায় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান গড়ে তোলে জীবিকানির্বাহ করছেন। সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের মধ্যকার ১৯ কিলোমিটার সড়ক পাশ্ববর্তী ১৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদেরকেও এখনো ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়া হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেও এখনো সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখের পড়েনি। আমরা গরীব মানুষ, আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান প্রিয় বিকাশ চাকমা, সারোয়াতলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুগত চাকমা, সারোয়াতলী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সুমায়া চাকমা, বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিরুপম চাকমাসহ আরও অনেকেই।

প্রসঙ্গত, বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে ৩০ ফুট প্রশস্ত এই সীমান্ত সড়কের দৈর্ঘ্য উগলছড়ি আর্য্যপুর থেকে কজইছড়িমুখ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে কজইছড়িমুখ থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.