জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর থেকে মিশুকচালক আবিদুর রহমান (১৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে ৮নং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর গ্রামে রাস্তার পাশের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবিদুর রহমান নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কেলী কানাইপুর গ্রামের পাতা মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার গুজাখাইর থেকে নবীগঞ্জে এসে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমির পুরের এদিকে যাওয়ার পর থেকে মিশুক গাড়ি ও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা। আতœীয়-স্বজন, পরিচিত সকলসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাখোজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ডায়েরী করার পর থেকেই নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মিশুকগাড়ি ও তার সন্ধানে অভিযান শুরু করে। এদিকে নিখোঁজের ৩দিন পর শুক্রবার দুপুরে ৮নং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর গ্রামে রাস্তার পাশের একটি ডোবায় লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা, পরে পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় লাশটি উদ্দার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। তবে এখন পর্যন্ত তার মিশুক গাড়িটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল খায়ের, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেলসহ অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ অটোরিক্সাসহ নিখোঁজের ৪দিন পর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমির পুর থেকে গুজাখাইর গ্রামের আবিদ উল্লাহ সেজু (১৮) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ১১ মাসের মাথায় একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটায় শহরজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার মিশুক গাড়িটির জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খুব গভীরভাবে তদন্ত করছি, আশা করছি খুব দ্রæত এর মূল রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।