এবার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমতে পারে। আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ভোজ্যতেল ও চিনি থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। আবার আমদানিকারকরা পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যারা সিন্ডিকেট করে মুনাফা নেওয়ার চেষ্টা করে তারা এবার সুযোগ পাবে না। কারণ সরকার টিসিবিকে শক্তিশালী করছে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ করা হবে। টিসিবিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তবে ভোজ্যতেল চিনি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে এনবিআর কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হয় না। এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে বাজেট সভা করতে রাজশাহীতে রয়েছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না, ফলে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। যদিও সেই প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সায় দেয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে ভোজ্যতেল আমদানিতে যে পরিমাণ ভ্যাট নেওয়া হয় সেটা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। এই সংকটময় সময়ে সরকার আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নিলে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
আজ এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এক সভায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ড দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেসব আমদানি নির্ভরপণ্য বেশি ব্যবহার করে, সেগুলোর ওপর থেকে সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন