অথই নূরুল আমিন
আমাদের দেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও এক শ্রেণির জনগণের কাছে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি মন্ত্রী এমপি জন প্রতিনিধি সহ এমনকি দেশের অতন্দ্র প্রহরী এবং সর্বজনীন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পযর্ন্ত কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক শ্রেণির জনগণ অসম্মান জনক কথা বার্তা বলে থাকে।
প্রশ্ন হলো ওরা কারা। ওরা আসলেই কি চায়।
স্বাধীনতার পক্ষে থাকা মানুষ গুলোকে প্রায়সম অকথ্য ভাষায় গালী দিতেও দেখা যায়। এই দেশের মানুষ গুলো কি করে বা কেন কোন কারনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলো।
গত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগ কেন এরকম একটি বিষয়ের প্রতি নজর দেয়নি। আওয়ামী লীগ এতো বড় ভুলটা কি করে করল?
দেশের নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়ে আওয়ামী লীগের নামটা পযর্ন্ত শুনতে চায়না। কারা ওদের মাথা ওয়াস করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের প্রায় আড়াই কোটি নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়ে মনে প্রানে ঘৃণা করে তার কারণ কি?
এরকম একটি অমানবিক বিষয় দেশে কাদের নেতৃত্বে চলমান রয়েছে। আর কেনই বা এই যুবক যুবতীরা যাদের বয়স আঠারো থেকে পঁচিশ। ওরা তো কখনই আওয়ামী লীগ বিরোধী হওয়ার কথা নয়। শেখ হাসিনা বিরোধী হবার কথা নয়।
গত বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান ধারন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পনেরো বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করার পরেও দেশের সিংহভাগ নব প্রজন্ম আওয়ামী রাজনীতি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে মনে প্রানে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। যা অতিব দুঃখজনক।
বিরোধী দল বলেন ইসলামী দল বলেন এছাড়া বাম দল সহ সরকার বিরোধী আন্দোলন গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। কম বয়সের ছেলে মেয়েরাই বেশি। যার যেভাবে মন চাচ্ছে শেখ হাসিনার বদনাম করছে।
সবচেয়ে বড় দুঃখজনক বিষয় হলো গত পঞ্চাশ বছরেও আমরা জাতিগত ঐক্য হতে পারিনি। অনেকেই হিংসা বিদ্বেষে আমরা নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো আমরা আজও দেশপ্রেমিক হতে পারিনি। এর জন্য একমাত্র দায়ী রাষ্ট্র প্রধান গণ। যারা এত যুগ ধরে দেশ শাসন করে আসছে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
1/11/2023