বানারীপাড়া(বরিশাল) সংবাদদাতাঃ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামে সেবিকা রানী (২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলায় সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রায় বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যপারে সেবিকার পিতা শান্তি রঞ্জন হালদার বাদী হয়ে মেয়ে জামাতা বিধান রায়কে আসামী করে স্বরূপকাঠি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামী বিধান রায়কে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর পূর্বে উপজেলার দূর্গাকাঠী গ্রামের কালী কান্ত রায়ের ছেলে বিধান রায়ের সাথে নলছিটি উপজেলার নাচন মহল তহএলাকার শান্তি রঞ্জন হাওলাদারের মেয়ে সেবিকা রানী রায়ের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের একটি ৭ বছরের সন্তান রয়েছে। বিধান তেমন কাজ কর্ম করে না। সে বার বার পিতার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রী সেবিকাকে চাপ দিত। এ নিয়ে বিধান প্রায়ই সেবিকাকে মারধর করত। ঘটনার দিনও বিধান তাকে মারধর করে । ঘরের মধ্যে সেবিকার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে সেবিকার পিতা থানায় কহ মামলা দায়ের করলে পুলিশ বিধান রায়কে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি থানার ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এবং স্বামী বিধান রায়কে নজরদারীতে রাখে। সেবিকার পিতা শান্তি রঞ্জন হাওলাদার মামলা দিলে বিধানকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।