সৌদির সাথে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপন হচ্ছে ঈদ

আরো ইসলামিক জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন...

অনলাইন ডেস্কঃ
আগামীকাল রবিবার (১০ জুলাই) ত্যাগের মহিমায় উদভাসিত হয়ে সারাদেশে ঈদ উদযাপন করবে মুসল্লিরা। তবে মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরব ও বিভিন্ন দরবার শরীফের অনুসরণে আজ শনিবার বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ঈদুল আজহা পালন করছেন মুসলিমরা।

শেরপুর উপজেলার চরকৈয়া গ্রামের একটি ঈদগাহ মাঠে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চরকৈয়াসহ আশেপাশের গ্রামের শতাধিক মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেয়। পুরুষদের পাশাপশি নারীরাও নামাজে অংশ নেন। ঈদের আগাম জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা সারোয়ার জাহান। ঈদগাহ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছল হক বলেন, ‘আমরা সহিহ হাদীস মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করছি। তবে ঈদের জামাত পড়লেও কোরবানি আগামীকালই দেওয়া হবে।’

সাতকানিয়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ শনিবার পবিত্র ঈদ উল আযহার ঈদ উদযাপন করছেন।চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিন আগে ঈদ পালন করলেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রে জানা যায়- সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া, মির্জাখীল, গারাংগিয়া, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ শনিবার ঈদ উল আযহা পালন করছেন। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও ঈদ পালন করছেন।

দরবার শরীফের মাঠে সকাল ১০ টায় অনুষ্টিতব্য ঈদের নামাজের ইমামতি করেছেন মির্জাখীল দরবারের বড় শাহজাদা ড. মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.