নিজস্ব প্রতিনিধ
ফেনী পৌরসভায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ‘পিপলস অ্যাডাপটেশন প্ল্যানস ফর ইনক্লুসিভ ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিস’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতির সম্মুখীন নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীদের অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশন এর অর্থায়নে এবং সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর সহযোগিতায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো: বাতেন বলেছেন, “যাদের গড় আয় ৮ হাজার টাকার নিচে তারা নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী। তারা পানি, স্যানিটেশন, স্যুয়ারেজ, পর্যাপ্ত আলো সহ স্বাভাবিক পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সমীক্ষা করতে হবে। শহরের একাডেমী রোড, পৌরসভায় ৫-৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে ছিল। ১৫ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে এক বছর লাগে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। সবধরনের স্টেক হোল্ডার যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌরসভার সচিব সৈয়দ আবু জর গিফরী। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন সেইভ দা চিলড্রেন এর ইমপ্লিমেন্টেশন কো-অর্ডিনেটর আশফাকুর রহমান আশা, প্রজেক্ট কর্মকর্তা মো: সিজান ইসলাম, ঈপসার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর অরুণ দর্শী চাকমা। আলোচনায় অংশ নেন ফেনী ইউনিভার্সিটির সিভিল ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান আলী আকবর, ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংগ্রাম প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহীম, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ, পৌরসভার মেডিকেল অফিসার ডা: কৃষ্ণপদ সাহা, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সুমন, পানি শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হিরন মিয়া, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিমুল হক, ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল মিয়া প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফেনী পৌরসভায় বসবাসরত কিছু চিহ্নিত নিম্নআয় জনগোষ্ঠী আবাসস্থল তাদের নিজেদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু সম্পর্কিত বিপদাপন্নতার ঝুঁকি নিরূপণ ও লিপিবদ্ধ করন এবং এরই আঙ্গিকে অভিযোজন পরিকল্পনা প্রস্তুত করন। সেভ দ্যা সিলড্রেন এই প্রকøেল্পর ডিজাইন করবে। আগামী বছরের ২৫ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এজন্য ফেনী পৌরসভার ৩, ৪, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের ৪৫০ পরিবারকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষই শ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুর, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইত্যাদি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই জনগোষ্ঠী পরিকল্পিত আবাসস্থল, মৌলিক চাহিদা এবং পরিকল্পিত নগরীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবের ফলে সমস্যাগুলোকে সঠিকভাবে চিহ্নিতকরণ এবং সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য অভিযোজনের ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরী।