সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
রবিবার (২২ মে) বিকেল ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কম্পাউন্ডে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এর সভাপতিত্বে ও উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
অনুষ্ঠানে একমাত্র সংরক্ষিত এক নারী কাউন্সিলর ছাড়া অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃত্বস্থানীয় শীর্ষ কোন ব্যক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের সামনেই স্থানীয় এলাকাবাসী কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু করেন। অনুষ্ঠানে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন স্থানীয় কাউন্সিলরদের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা সবই জানেন কাদের কাদের ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জাড়িত।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকায় কিশোরগ্যাং, মাদকের ছড়াছড়ি পুলিশ কাজ করলেও জনপ্রতিনিধিদের নেই কোন খেয়াল।
এদিকে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, এতো বড় একটি ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হলো কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের নাসিক ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের একজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ছাড়া অন্য কোনো কাউন্সিলরের উপস্থিতি নেই। তারা এতোটাই ব্যস্ত যে একটু সময় পায় না অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার।
ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক সময়ের আলোর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি রাশেদুল কবির অনু বলেন, প্রতিমাসে থানা আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে পালন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১০ জন পুরুষ কাউন্সিলর রয়েছে। আমি কখনোই দেখিনি ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে ১০ জন কাউন্সিলর একসাথে উপস্থিত ছিলেন। আজকেও একজন পুরুষ কাউন্সিলর উপস্থিত নেই শুধু একজন নারী সংরক্ষিত কাউন্সিলর ছাড়া।
আমি মনে করি কিশোর গ্যাং মাদক নির্মূল ও সন্ত্রাস দমনে অবশ্যই পুলিশের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একসাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই মাদক, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিংমুক্ত সুন্দর একটি সামাজিক পরিবেশ গড়া তোলা সম্ভব হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমুল হাসান বলেন, আমরা আপনাদের মতামত শুনেছি। আপনাদের কথাগুলো মাথায় রেখেই আমরা কাজ করবো। তবে অনেকেই মুখে মুখে অনেক কিছু বলেন কাজের সময় তাদেরকে পাওয়া যায় না। সিদ্ধিরগঞ্জে কোন কিশোর গ্যাং থাকবে না, কোন ইভটিজিং হবে না, কোন চাঁদাবাজি হবে না। কেউ চাঁদা দাবী করলে থানার ওসিকে জানাবেন প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন। চাঁদাবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা পুলিশকে সহযোগীতা করলে সিদ্ধিরগঞ্জ অপরাধ মুক্ত হবে।