স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে বান্দরবানে অবস্থিত ৯২৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি শেয়ারে জমাকৃত ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এছাড়াও আদালত ফৌজিয়া ইসলামের গুলশানের একটি ফ্ল্যাট ও চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত একটি চারতলা বাসার তিন ভাগের এক ভাগ অংশ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ কর্তৃক দায়েরকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফৌজিয়া ইসলাম বৈধ আয়ের উৎসের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছেন। তার স্বামী তাজুল ইসলাম অসদুপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রীর নামে এই সম্পদ ক্রয়ে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ফৌজিয়া ইসলামের ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যা মোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে আয়ের উৎস গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এ মামলায় দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তদন্তকালে ফৌজিয়া ইসলামের ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায় এবং তিনি এই অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ কারণে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আদালতের কাছে আবেদন করেন।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল তাজুল ইসলামের নামে তিন জেলায় অবস্থিত ২৮ বিঘা জমি, দুটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তার নিজ নামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত ২০ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩৭ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। এছাড়াও ১৬টি কোম্পানিতে তার ৫ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
