জিহাদ হোসেন
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে ওৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। যে গণতন্ত্রের জন্য এত জীবন গেল, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেটলাইন দিতে হবে। কিন্তু, কতিপয় রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলছে। তাদের এই আচরণ দুরভিসন্ধিমূলক।আমরা হাসিনাকে পরাজিত করতে পেরেছি। সে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু, আমাদের সব কিছু সে শেষ করে দিয়ে গেছে। একেকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগরে নেতাদের ব্যাংকে লেনদেন পাওয়া যাচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তারা গোটা দেশকে আওয়ামী লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল।
জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেন শেষে, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন,সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম সম্রাট ও তার নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে আমরা দেশ গঠনের কাজ করবো। তৃণমূলে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবো। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা দলের জন্য কাজ করব বলে মন্তব্য করে হাসান ইমাম সম্রাট।
তিনি বলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। নবগঠিত আহবায়ক কমিটির কাছে তৃনমুল নেতাকর্মীদের অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা,আশাকরি আপনাদের নেতৃত্বে সেই আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, যারা গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে দলকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসছে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন আশাকরি, কারো ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ কে প্রাধান্য না দিয়ে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিট কমিটি করে দলকে শক্তিশালী করবেন আশাকরি।, ৫ই আগস্টের আগে কজন ছিলেন রাস্তায় তাদেরকেও আমরা চিনি। পরিবার পরিজন এর মায়া ছেড়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি,আন্দোলন সফল করার উদ্দেশ্যে সহযোদ্ধাদের নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছি। ফিরবো কিনা তাও জানতাম না। যদি পুলিশের গুলিতে রাস্তায় মৃত্যু হতো, সন্তান হতো এতিম। স্ত্রী হতো বিধবা। এক দিকে রাস্তায় মৃত্যুর ভয় আরেক দিকে বাসায় পুলিশের ভয়। যে কোন সময় দুইটির একটি ঘটতে পারতো আমার / আমাদের উপর। গ্রেফতারের ভয়ে বাসা থেকে মাসকে মাস বাহিরে থাকতে হয়েছে।ফ্যাসিস্ট সরকারের মামলা থেকেও রেহাই পাইনি। তার পরেও আমরা বুকে হাত রেখে বলতে পারি আমরা জিয়ার আদর্শের সৈনিক।দলের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে যে কোন অপসক্তির বিরুদ্ধে আমরা এক হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি শরিফ মাহমুদ,বিএনপি নেতা,শুক্কুর,স্বপন,আমির,মামুন, মিজান, উৎসব,হাফিজুল,জাকির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।