সভাপতি নজরুল ইসলাম তালা প্রেসক্লাবের কমিটি বৈধ : আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে নির্দেশনা

আইন-অপরাধ আরো তথ্য প্রযুক্তি পরিবেশ বরিশাল সারাদেশ
শেয়ার করুন...

সাগর মোড়ল তালা, সাতক্ষীরা।
তালা প্রেসক্লাবের বৈধ কমিটির সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয় সাতক্ষীরা (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা) থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

গেল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয়ের পত্রে বলা হয়, এস.এম নজরুল ইসলাম তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে উচ্চ আদালতের আদেশের ক্ষমতাবলে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন করেন। মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় সরকারি কৌশুলীর মতামত চাওয়া হয়। তিনি গত ৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন। মতামত আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পত্রে। পত্রে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি কৌশুলীর প্রতিবেদন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী অসীম কুমার মন্ডল তালা প্রেসক্লাব সংক্রান্ত সকল নথিপত্র পর্যালোচনা করে মতামত প্রতিবেদন দেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন, উচ্চ আদালতের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে এস.এম নজরুল ইসলাম সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এস.এম নজরুল ইসলাম সভাপতি ও শেখ জলিল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক সহ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তালা প্রেসক্লাবের দায়িত্বপালন করছিলেন। জেলা আ.লীগের উপ প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের ছত্রছায়ায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২ আগষ্ট তালা প্রেসক্লাবের পূনাঙ্গ কমিটি গঠনকল্পে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার দপ্তর স্মারক নং- ৩৭.০২.৮৭৯০.০০.০৬.০৩.১৭.২৭ (যুক্ত) তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে একটি নির্বাচনী তফশীল ঘোষনা করেন। সেটির বৈধতা নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন তালা প্রেসক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম। বিষয়টি তালা সহকারি জজ আদালত, জেলা জজ আদালত সর্বশেষ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়। মামলাটি এখনো চলমান। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর উচ্চ আদালত সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলামের কমিটিকে বৈধতা দিয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্মারকের নির্বাচনী তফসিলের কার্যক্রম স্থগিত করেন।

এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পালান আ.লীগ নেতারা। দু’দিন পর আব্দুল হাকিম আহবায়ক ও সেলিম হায়দার সদস্য সচিব হয়ে তালা প্রেসক্লাবের নামে ঘোষনা দেন আরেকটি অবৈধ কমিটি। এরপর শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আব্দুল হাকিম সভাপতি ও ফারুক জোয়ার্দ্দার নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা দিয়ে উত্থান ঘটিয়েছেন তালা প্রেসক্লাবের নামে আরেকটি অবৈধ কমিটি।

সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সাইফুল্লাহ্ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে আইনীভাবে সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম নেতৃত্বে তালা প্রেসক্লাবের বৈধ কমিটি। প্রশাসনিক কার্যক্রমও তিনি পরিচালনা করবেন। অবৈধ পহ্নায় যে কেউ তালা প্রেসক্লাবের নামে কমিটি ঘোষনা করলেও আইনীভাবে বৈধতা পাওয়ার সুযোগ নেই।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ মো. রাসেল জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্দেশনা পত্র পেয়েছি। সেই অনুযায়ী আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.