শেরপুরে লিটন মিয়াকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের

আইন-অপরাধ আরো ময়মনসিংহ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

হারুনুর রশিদ শেরপুর
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগানীমুরাকান্দাপাড়া গ্রামে গত ২ অক্টোবর পূর্বশত্রæা ও জমি সংক্রান্তবিরোধের জের ধরে একই গ্রামের একদল দুর্বৃত্তপূর্বপরিকল্পিতভাবে মৃত. হাছেন আলী মন্ডলের ছেলে লিটন মিয়াওরফে হিটলার (৪৫) কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরাই তরিঘরি করে তারলাশ দাফন করার অভিযোগ উঠেছে।এঘটনায় ৩০ অক্টোবর ৭ জনকে চিহ্নিত করে সি.আর আমলীআদালতে মামলা দায়ের করেছেন মৃত. লিটন মিয়া ওরফে হিটলারেরভাতিজা মো. আবির ইসলাম। যার মামলা নং- ১৩১৬/২২।মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলারযোগানীমুরা কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত. হাছেন আলী মন্ডলেরছেলে লিটন মিয়া ওরফে হিটলারের সাথে একই গ্রামের মৃত.সেকান্দর আলীর ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম শুভ (৩৮), মৃত. মোশারফহোসেনের ছেলে আঃ মতিন (৪০), মৃত. আঃ রশীদের ছেলে মো.ফিরোজ মিয়া (৩০), মো. রহুল আমীন (৪০), সেকান্দর আলীর ছেলেমো. চঞ্চল মিয়া (৪৫), মৃত. মোশারফ হোসেনের ছেলে মো.মমিনুল ইসলাম (৪৫) গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলেআসছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন গভীর রাতে মো. শহীদুলইসলাম শুভ ও মো. আঃ মতিন ব্যবসার কথা বলে লিটন মিয়া ওরফেহিটলারকে তার বাড়ী থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরেসংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ ও অন্ডকোষ চেপে হত্যা করেহিটলারের লাশ একই গ্রামের রাস্তার পাশে একটি মসজিদের ফটকেফেলে রেখে যায়। এদিকে হিটলার রাতে বাড়ি ফিরে না আসায়আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়েপরদিন ভোরে মসজিদের ফটকে তার লাশ দেখতে পায়। পরে তার লাশবাড়ীতে নিয়ে গোসল করানোর সময় অন্ডকোষ ফুলা এবং জখমদেখতে পায়। এঘটনা ধামাচাপা দিতেই মামলার আসামীরাকৌশলে হিটলারের লাশ তরিঘরি করে দাফন করে দেন। পরবর্তীতে ওইগ্রামে চাপা গুনঞ্জন শুরু হলে চিহ্নিতদের আসামী করে মামলাদায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে যায় এবংবাদীর পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগকরতে থাকে। এছাড়াও মৃত. লিটন মিয়া ওরফে হিটলারের লাশ কবর থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে আসামীরা। এ অবস্থায়হিটলারের পরিবার প্রতিনিয়ত কবরস্থানে দিবারাত্র কবর পাহারাদিচ্ছেন।এব্যাপারে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর পরিবার মামলাটি সদরথানায় হত্যা মামলা রুজুর জন্য পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন, সেই সাথে মামলারআসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.